মঙ্গলবার সকাল
থেকে বিকাল পর্যন্ত টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে এই অভিযান চালানো হয় বলে পুলিশ
জানিয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, টেকনাফে
রোহিঙ্গারা বিভিন্ন যানবাহন ভাড়ায় চালাচ্ছে। অবৈধভাবে টমটম, সিএনজি চালিত
অটোরিকশার অদক্ষ এসব রোহিঙ্গা চালকের কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি ও যানজট বাড়ছে। এসব
যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে।
টেকনাফ ট্রাফিক
জোনের পুলিশ পরিদর্শক ফারুক আল মামুন ভুঁইয়া জানান, অভিযান চলাকালে যেসব যানবাহনের
চালকদের লাইসেন্স, এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন কার্ড পাওয়া যায়নি সেগুলো আটক করা হয় এবং
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার ফলে চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
“চলমান অভিযানের
অংশ হিসেবে ২০০ জন টমটম চালকের আইডি ও জম্মনিবন্ধন কার্ড যাচাই-বাচাই করেছি। এই
অভিযানের সময় দুটি ডাম্প ট্রাক, দুটি মোটরসাইকেল আটক করে মামলা ও চালকসহ ১০টি টমটম
আটক করা হয়।”
তিনি আরও বলেন, এই
অভিযানের ফলে টেকনাফ উপজেলায় রোহিঙ্গা চালকও হেলপারের সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায়
চলে আসবে। এই অভিযানের কারণে আগের তুলনায় অনেক টমটম চলাচল কমে গেছে।
কক্সবাজার পুলিশ
সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, নিয়ম ভেঙে ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের বের হওয়ার
প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রতিদিন অভিযান করছে পুলিশ। রোহিঙ্গা
চালক পাওয়া মাত্রই আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশ।