কিংবদন্তি কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন ২০১৩ সালে ইউনাইটেডের দায়িত্ব
থেকে সরে যাওয়ার পরই দলটির উল্টো যাত্রা শুরু। গত আট মৌসুমে দলটির সেরা সাফল্য ২০১৬-১৭
মৌসুমের ইউরোপা লিগ জয়। সেবার লিগ কাপও জিতেছিল তারা।
সেই শেষ। তারপর থেকে আর কোনো শিরোপার স্বাদ পায়নি দলটি। প্রিমিয়ার লিগের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন তারা; কিন্তু গত কয়েক বছরে সেখানেও
আলো ছড়াতে পারেনি তারা।
লিগে শীর্ষ চারে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের টিকেট নিশ্চিত করার মাঝে বিশেষ
কিছু দেখেন না ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির সমর্থকরা। যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের
ক্ষোভ প্রকাশের মধ্য দিয়ে। সম্প্রতি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের সামনে
ক্লাবের মালিকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান তারা।
তবে ইউনাইটেড দল এখন যে অবস্থায় আছে, তাতে রাতারাতি তাদের পক্ষে ইউরোপের
সেরা দলগুলোর সঙ্গে শিরোপা লড়াই করাটা বেশ কঠিন। কেননা দলটি এখনও যাচ্ছে পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার
মধ্য দিয়ে।
রক্ষণ থেকে আক্রমণ, ইউনাইটেডের ধার বাড়াতে হবে সব জায়গাতেই। আর এই কাজটা
ঠিকঠাকভাবে করতে দলবদলের বাজারে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
এক্ষেত্রে তাদের জন্য উদাহরণ হতে পারে পরবর্তী লিগ ম্যাচের প্রতিপক্ষ
লিভারপুল। ২০১৫ সালে ইয়ুর্গেন ক্লপ দায়িত্ব নেওয়ার পর ধীরে ধীরে বদলে যেতে থেকে
অ্যানফিল্ডের ক্লাবটি। প্রতিভাবান ও কার্যকরী খেলোয়াড়দের দলে ভিড়িয়ে বাজিমাত করেন জার্মান
কোচ।
তার হাত ধরে গত চার মৌসুমে প্রিমিয়ার
লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ আরও কয়েকটি শিরোপা জিতেছে লিভারপুল। চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যে
একটি শিরোপা জেতা দলটি টিকে আছে লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও এফএ কাপের লড়াইয়ে।
লিভারপুলের মাঠে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় লড়াইয়ে নামবে ইউনাইটেড।
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে রাংনিক বলেন, আগামী কয়েকটি ট্রান্সফার উইন্ডোতে সঠিক সিদ্ধান্ত
নিতে পারলে ইউনাইটেড আবারও নিজেদের ফিরে পাবে।
“আমার মনে হয় না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মতো একটি ক্লাব (দল পুনর্গঠনের
জন্য) তিন বা চার বছর সময় নিতে পারে। আমি মনে করি না এত সময়ের প্রয়োজন আছে।”
“আমরা যা খুঁজছি, তা যদি জানা থাকে, তাহলে এর জন্য দুই বা তিনটি ট্রান্সফার
উইন্ডো লাগবে।”
ফুটবলারদের নাম নয়, তাদের দক্ষতা ও দলে তারা কীভাবে অবদান রাখতে পারেন,
তা বিবেচনায় খেলোয়াড় কেনার পরামর্শ রাংনিকের।
“কোন ধরনের ফুটবল খেলতে চাই এবং প্রতিটি আলাদা পজিশনের জন্য কোন মাপের
খেলোয়াড় দরকার- নিজেদের কাছে বিষয়টা পরিষ্কার থাকলে তখন আসল কাজ কেবল সঠিক খেলোয়াড়
খুঁজে বের করা এবং তাদের (ইউনাইটেডে) আসতে রাজি করানো। এটা তেমন জটিল কাজ নয়, রকেট
সায়েন্স নয়।”
লিগের পয়েন্ট টেবিলে ৩২ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৯ ড্রয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ
নম্বরে আছে রাংনিকের দল। চার নম্বরে থাকা টটেনহ্যাম হটস্পারের চেয়ে ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে
তারা।
৩১ ম্যাচে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটি। সমান ম্যাচে ৭৩
পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লিভারপুল।