ক্যাটাগরি

কোহলিকে বিরতি নিতে বললেন শাস্ত্রী

কিছুদিন আগেও কোহলির প্রসঙ্গে মূল আলোচনা ছিল তার সেঞ্চুরি খরা নিয়ে। একসময়
যিনি মাঠে নামলেই সেঞ্চুরি করতেন হরহামেশা, তার ব্যাটে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কোনো
সংস্করণেই শতরান নেই গত প্রায় আড়াই বছর ধরে।

গত মাস দুয়েকে সেঞ্চুরি খরার আলোচনা বদলে গেছে তার ফর্মহীনতার স্রোতে। ফেব্রুয়ারিতে
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তার মোট রান ২৬। পরের মাসে শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে করতে পারেননি ফিফটি।

এরপর আইপিএলেও নিজে আছেন স্রেফ নিজের ছায়া হয়ে। র‌য়্যাল চ্যালেঞ্জোর্স বেঙ্গালোরের
৭টি ম্যাচ হয়ে গেছে, এখনও পঞ্চাশের স্বাদ পাননি কোহলি। দুটি ম্যাচে অবশ্য ৪০ ছুঁতে
পেরেছেন। অন্য ৫ ম্যাচ মিলিয়ে রান মোট ৩০!

লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে মঙ্গলবার তিনি আউট হন প্রথম বলেই। পরে
স্টার স্পোর্টসে আলোচনায় রবি শাস্ত্রী তুলে আনেন বিরতির প্রসঙ্গ।

জৈব-সুরক্ষা বলয়ের জীবন, সেঞ্চুরি খরা, টানা খেলার ক্লান্তি সব মিলিয়ে কোহলি
হাঁপিয়ে উঠেছেন বলেই মনে করেন শাস্ত্রী। সেটির প্রভাবই মাঠের ক্রিকেটে পড়ছে বলে ধারণা
তার।

“বিরাট কোহলি শ্রান্ত, অবসন্ন। কারও যদি বিরতির প্রয়োজন হয়, সেটা অবশ্যই
সে। সেটা দুই মাসের হবে নাকি দেড় মাস, ইংল্যান্ড সিরিজের (আগামী জুনে) আগে হবে নাকি
পরে, যেটাই হোক, এটা দরকার। তার বিরতি দরকার, কারণ আরও ৬-৭ বছরের ক্রিকেট তার মধ্যে
আছে এবং মানসিক ক্লান্তির কারণে সেটা হারাতে দেওয়া যাবে না।”

ধারাভাষ্যকার হিসেবে এবারের আইপিএলে থাকা কেভিন পিটারসেন মনে করেন, শুধু
ক্রিকেট থেকে নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেও আড়ি জানানো উচিত কোহলির।

“এত কিছু তাকে সামলাতে হয়, বিয়ে থেকে শুরু করে সন্তান, মিডিয়ার আতস কাঁচের
নিচে থাকা, ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সবার আগ্রহ… সবকিছু। খেলাটার সবচেয়ে বড় তারকা সে।”

“বিরাট কোহলির উচিত এটা বলা, ‘ক্রিকেট বুট, ৬ মাসের জন্য বিদায়, তোমার সঙ্গে
পরে দেখা হবে।’ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে প্রাণশক্তি ফিরে পাওয়া। স্টেডিয়ামগুলো
যখন আবার দর্শকে পরিপূর্ণ হবে (কোভিড মহামারী শেষে), তাকে এক-দুই-তিন বছরের জন্য জায়গার
নিশ্চয়তা দিয়ে ফিরিয়ে এনে বরতে হবে, ‘তুমিই আমাদের ভরসা, আবার আমাদের জেতাবে তুমি।”