মুম্বাইয়ের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে বুধবার পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে একটি উইকেট পান মুস্তাফিজ। ১৪টি ডট বল খেলালেও চারটি চারের সঙ্গে তিনি হজম করেন ইনিংসের একমাত্র ছক্কা।
তার দল দিল্লি অবশ্য ছোট লক্ষ্য পেয়ে বড় জয় তুলে নিয়েছে। ১১৫ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে যায় ৯ উইকেট ও ৫৭ বল হাতে রেখে। ৩০ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৬০ রানের ইনিংস খেলেন ডেভিড ওয়ার্নার।
আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে নিজের শেষ ওভারে ২৮ রানসহ মোট ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন মুস্তাফিজ।
বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার পাঞ্জাবের বিপক্ষে প্রথম বল হাতে পান ইনিংসের পঞ্চম ওভারে। প্রথম দুই বল ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে, দ্বিতীয়টিতে মায়াঙ্ক আগারওয়াল নেন ডাবল। পরের বলেই বোল্ড পাঞ্জাব অধিনায়ক।
ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি থার্ড ম্যানে খেলতে চেয়েছিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ব্যাটে লেগে বল ভেঙে দেয় স্টাম্প। শেষ দুই বলে বাউন্ডারি মারেন জনি বেয়ারস্টো। ওভারে ১১ রান দিয়ে মুস্তাফিজের প্রাপ্তি মায়াঙ্কের উইকেট।
নবম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে প্রথম চার বলে তিনি দেন স্রেফ ২ রান। পঞ্চম বল অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে হজম করেন বাউন্ডারি, ব্যাটসম্যান জিতেশ শর্মা। পরের বল ‘ডট।’ ওভার থেকে আসে ৬ রান।
১৭তম ওভারে আবার যখন বোলিং পান মুস্তাফিজ, ৯৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল পাঞ্জাব। প্রথম তিন বলে তিনি বেঁধে রাখেন রাহুল চাহারকে। চতুর্থ বল ছিল শর্ট, ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন চাহার। পরের দুই বলে একটি সিঙ্গেলসহ ওভার থেকে আসে ৭ রান।
কোটার শেষ ওভারটি করেন তিনি ইনিংসের শেষ ওভারে। প্রথম বলে কিপার রিশাভ পান্তের নৈপুণ্যে বাউন্ডারি হজম করা থেকে বেঁচে যান মুস্তাফিজ। পরের বল ফুলটস পেয়ে চার মারেন আর্শদিপ সিং।
বাকি চার বলে অবশ্য ব্যাটই ছোঁয়াতে পারেননি আর্শদিপ। শেষ বলে তিনি হয়ে যান রান আউট।
দিল্লির হয়ে ২টি করে উইকেট নেন চার জন- খলিল আহমেদ, ললিত যাদব, আকসার প্যাটেল ও কুলদিপ যাদব। আকসার ৪ ওভারে দেন স্রেফ ১০ রান। পাঞ্জাবের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন জিতেশ।
ম্যাচটি অবশ্য মাঠে গড়ানো নিয়েই জেগেছিল শঙ্কা। গত শুক্রবার থেকে ক্রিকেটার, সাপোর্ট স্টাফসহ দিল্লির ছয় জন সদস্যের শরীরে করোনাভাইরাস ধরে পড়ে। ম্যাচটি পুনে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় মুম্বাইয়ে।
মুস্তাফিজ আসরে দিল্লির হয়ে প্রথম ম্যাচে ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। পরের দুই ম্যাচে উইকেট না পেলেও বোলিং খারাপ করেননি, রান দেন যথাক্রমে ২৬ ও ২১। এরপর বেঙ্গালোরের বিপক্ষে দুঃস্বপ্নের ওই বোলিং।