মামলাটি বুধবার শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকলেও তারেক
ও জোবাইদার আইনজীবীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল
হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য আগামী ২৯ মে নতুন দিন রাখেন।
আদালতে এদিন দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আর
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। তারেক ও তার স্ত্রী জোবাইদার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কায়সার কামাল।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা.
জোবাইদা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার
৫৬১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর
কাফরুল থানায় এ মামলা দায়ের করে দুদক।
মামলায় তারেক রহমানকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয় জোবাইদা
ও তার মায়ের বিরুদ্ধে।
সেখানে বলা হয়, তারেক তার স্ত্রীর নামে ৩৫ লাখ টাকার দুটি এফডিআর করে
দেন। এভাবে জোবাইদা তার স্বামীকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন।
তারেক-জোবাইদার ‘দুর্নীতির’ মামলায় রুল শুনানি বুধবার
‘লিভ টু আপিল’ খারিজ, তারেকপত্নী জোবাইদার বিরুদ্ধে মামলা চলবে
মামলা চলবে, তারেকপত্নী জোবাইদাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
পরে একই বছর তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে
পৃথক রিট আবেদন করেন। এর মধ্যে ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি
দমন কমিশন।
এরপর আসামিরা মামলাটি বাতিলের আবেদন করলে হাই কোর্ট মামলার কার্যক্রম
স্থগিত করে রুল দেয়। দীর্ঘ বিরতির পর রিট মামলাগুলো শুনানির জন্য উঠল।
এ মামলার বৈধতা নিয়ে আরেকটি ফৌজদারি আবেদন করেছিলেন ডা. জোবাইদা। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তখন এ মামলার
কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিল হাই কোর্ট।
সেই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলে জারি করা
রুল খারিজ হয়ে যায়। একই সঙ্গে জোবাইদা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও
নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেছিলেন
জোবাইদা রহমান। শুনানি শেষে গত ১৩ এপ্রিল আপিল বিভাগ জোবাইদার আবেদন খারিজ করে দিলে
মামলা চালিয়ে নিতে আইনি বাধা কাটে।