সোমবার
রাতের সংঘর্ষের জেরে মঙ্গলবার আবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নিউ মার্কেট এলাকা। সকাল থেকে
হামলা-পাল্টা হামলা চললেও ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় হয় বেশ পরে।
এর
আগেই শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, দোকানকর্মী, পথচারী মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত মানুষ আহত হন।
মঙ্গলবার
রাতে আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান শিক্ষামন্ত্রী। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন
অবস্থায় নাহিদ হাসানের মৃত্যু হয় রাতে।
সংঘর্ষ
থামাতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী যথাযথ ভূমিকা রাখলে এই মৃত্যু ঘটত কিনা- এমন প্রশ্ন সাংবাদিকরা
শিক্ষামন্ত্রীর সামনে রাখেন।
জবাবে
তিনি বলেন, “আজকে সকাল থেকে তাদের থাকতে বলা হয়েছিল। যে সময়টায় তিনি আহত (নাহিদ হাসান)
হলেন, তখন পুলিশ গিয়ে পৌঁছায়নি। পুলিশ আগে পৌঁছাতে পারলে হয়ত সংঘর্ষটা থামানো যেত।
“এ
ব্যাপারে সুষ্ঠ তদন্ত হবে। কারও দায়িত্বে অবহেলা থাকলে তা দেখা হবে।”
ঘটনার
বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের সাথে আলোচনা করেছেন বলেও জানান দীপু
মনি।
দেশে
অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “কারা এ ধরনের
ঘটনাকে উসকানি দিচ্ছে, কারা সূত্রপাত করছে, কারা একে পুঁজি করে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা
করছে- তাদের খুঁজে বের করা হবে।”
দুই
দোকানের দ্বন্দ্বে শিক্ষার্থীরা কেন জড়িয়ে পড়ল, তার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত
মন্তব্য করে দীপু মনি বলেন, “এর পিছনে অন্য কিছু আছে কিনা? যেখানে ছাত্রদের কোনো সংশ্লিষ্টতা
নেই, সেখানে তাদের জড়িয়ে এনে এ রকম সংঘর্ষ করানো…।
“নানা
রকম গুজব ছড়ানো হচ্ছে। শিক্ষার্থী-শ্রমিকদের ভুল তথ্য দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার
চেষ্টা চলছে। উত্তাপকে জিইয়ে রাখার অপচেষ্টা চলছে।”
সবাইকে
সতর্ক থেকে এসব রুখে দেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী।
ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুই শিক্ষার্থীর অবস্থা এখন ‘ভালো’ বলে জানান তিনি।