মঙ্গলবার রাতে প্রথমে তিনি
সংঘর্ষে গুরুতর আহত ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেনকে দেখতে স্কয়ার হাসপাতালে
যান। পরে সেখান থেকে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আহতদের দেখতে যান।
উভয় হাসপাতালে তিনি আহত
শিক্ষার্থী ও অন্যদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
সোমবার রাতে শুরু হওয়া এ
সংর্ঘষ মঙ্গলবার দিনভর অব্যাহত থাকলে আহত হয় কমপক্ষে ৫০ জন। তাদের মধ্যে এক ডেলিভ্যারিম্যান
নাহিদ হাসান (২৩) মঙ্গলবার
রাত পৌনে ১০টার দিকে মারা যান।
মঙ্গলবার চাঁদপুর থেকে
ফিরে রাত সাড়ে ৯টায় পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীনে শিক্ষার্থী মোশাররফ
হোসনকে দেখতে যান দীপু মনি।
মোশাররফ ঢাকা কলেজের
ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
আহত এ শিক্ষার্থীকে
দেখতে গেলে তার বাবা কান্নায় ভেঙে পড়েন। শিক্ষামন্ত্রী তাকে সমবেদনা জানান এবং সরকার
তার চিকিৎসার জন্য সবকিছু করবেন বলে আশ্বাস দেন।
শিক্ষামন্ত্রী আহত
মোশাররফকে বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তোমার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। কোনো
দুশ্চিন্তা করবে না। তোমার পাশে আমরা আছি, তোমার শিক্ষকরা আছেন, তোমার আত্মীয়স্বজনরা
আছেন। সব ডাক্তাররা আছেন। ইনশাল্লাহ তুমি দ্রুত ভালো হয়ে যাবে বাবা।”
মোশাররফ এসসময় শিক্ষামন্ত্রীকে
ধন্যবাদ জানান।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে
এসময় ঢাকা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এটিএম মইনুল হোসেনও ছিলেন।
এর আগে দিনভর সংঘর্ষের মধ্যে
ঢাকা কলেজ বন্ধ ও হল খালি করার ঘোষণা দেওয়ায় অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা।
পরে রাত ৮টায় ছাত্রদের
‘হলে থাকতে দেওয়ার আশ্বাস’ দিলে শিক্ষার্থীরা তার কার্যালয় থেকে সড়ে যান। এরপর ক্যম্পাস
ছাড়েন অধ্যক্ষ এবং পরে স্কয়ার হাসপাতালে যান।
সবশেষ খবর অনুযায়ী,
ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাস এবং নিউ মার্কেট এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সোমবার নিউ মার্কেটে একটি খাবারের
দোকানের কর্মীদের সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিতণ্ডার জের ধরে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের
সঙ্গে ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের এ সংঘর্ষের শুরু হয়।
আরও খবর:
নিউ মার্কেটের সংঘর্ষে আহত একজনের মৃত্যু
নিউ মার্কেটে সংঘর্ষে আহত অর্ধশত
হলে থাকার ‘আশ্বাসে’ মুক্ত অধ্যক্ষ, শিক্ষার্থীকে দেখতে গেলেন স্কয়ারে
নিউ মার্কেট এলাকা থমথমে, শিক্ষার্থীরা রাস্তায়
ঢাকা কলেজের হল বন্ধের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা, অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ
সংঘর্ষ: ঢাকা কলেজের ছাত্রাবাস খালি করার নির্দেশ