গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। প্রায় আট সপ্তাহের এই যুদ্ধে বহু মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। ৭০ লাখের বেশি মানুষ ইউক্রেইনের ভেতরেই উদ্বাস্তু হয়ে আছে।
আর জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত ৫০ লাখ ৩০ হাজার মানুষ ইউক্রেইন ছেড়ে অন্য কোনো দেশে আশ্রয় নিয়েছে।
যাদের বেশিরভাগই পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি এবং রোমানিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। ওই সব দেশের সরকার এবং স্বেচ্ছাসেবীরা বিশেষ করে নারী ও শিশুদের খাবার, নিরাপদ আশ্রয় এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছে।
ইউক্রেইনে দাতব্য কাজে নিয়োজিত প্রাগ ভিত্তিক সংগঠন ‘পিপুল ইন নিড’ এর মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর ইয়াকুব আন্দ্রেলে বলেন, ‘‘সেন্ট্রাল ইউরোপের শরণার্থীর সংখ্যার দিকে তাকান, সংখ্যাটি নজিরবিহীন।
“একইসঙ্গে এটাও মনে রাখতে হবে, যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে এই সংখ্যা দিন দিন আরো দ্রুত বাড়তে পারে।”
ইউক্রেইন থেকে পালিয়ে যাওয়া অর্ধেকের বেশি শরণার্থী পোল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে প্রবেশ করেছে। তাদের অনেকের সেখানে পরিবার বা অন্যান্য যোগাযোগের মাধ্যমে আপাতত বসবাসের ব্যবস্থা হয়েছে।
কিন্তু এখন দীর্ঘমেয়াদে তাদের কোথায় রাখা যায় সে বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে হচ্ছে বলে জানান পিপুলস ইন নিড এর আরেক কর্মকর্তা ক্যাটারিনা।
বলেন, অনেকে পরিবারের সঙ্গে অস্থায়ীভাবে বা হোস্টেলে থাকছেন। সামনে পর্যটন মৌসুম শুরু হচ্ছে। তখন ওইসব জায়গা খালি হতে হবে।
“প্রাথমিকভাবে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তা সত্যিই খুব ভালো। কিন্তু এখন সরকারগুলোকে দীর্ঘমেয়াদের জন্য ভাবা প্রয়োজন।
“এটা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছে। উদারহণ হিসেবে বলা যায়, প্রাগে এখন জায়গা খুঁজে বের করা এবং বড় পরিবারকে একসঙ্গে রাখা খুবই কঠিন।”