স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা করে এই ২৮ জন রোগী শনাক্ত হয়।
তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ। আগের দিন এই হার শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে মহামারীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৪৪০ জন হয়েছে। গত একদিনে আরও একজনের মৃত্যু হওয়ায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ১২৬ জনে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও ৫৪৬ জন; তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯২ হাজার ৭৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩১ হাজার ২৩৯ জন। অর্থাৎ তারা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার এখনও সুস্থ হননি।
গত একদিনে দেশে শনাক্ত রোগীর মধ্যে ২১ জন ঢাকা বিভাগের, যাদের মধ্যে ১৫ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা।
দেশের ৫৬ জেলায় কোনো নতুন রোগী শনাক্ত হয়নি গত এক দিনে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত নতুন কোনো রোগী পাওয়া যায়নি রাজশাহী, রংপুর এবং বরিশাল বিভাগে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় শনাক্ত কমেছে, মৃত্যু অপরিবর্তিত রয়েছে।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশে। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ তিন হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি ৫৬ লাখের বেশি।