ক্যাটাগরি

কোভিড পজিটিভ দিল্লির আরেক বিদেশি ক্রিকেটার

নতুন করে কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের টিম সাইফার্ট। ইএসপিএনক্রিকইনফো বুধবার জানিয়েছে, এদিন সকালে আরটি-পিসিআর টেস্টে এসেছে এই ফল।

তাতে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে দিল্লির বুধবারের ম্যাচ নিয়ে শঙ্কা আরও বাড়ল। পুনেতে হওয়ার কথা থাকলেও মঙ্গলবার ম্যাচের ভেন্যু বদলে মুম্বাইয়ের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে নিয়ে আসে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

নির্ধারিত দিনে আয়োজন সম্ভব না হলে নতুন সূচিতে আয়োজনের পথ খোলা রেখেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। দিল্লি দলের সবার আরেক দফায় কোভিড পরীক্ষা করতে বলেছে তারা। মুস্তাফিজুর রহমানদের আজকের ম্যাচটির ভাগ্য নির্ভর করতে পারে নতুন পরীক্ষার ফলাফলের ওপর। 

গত কয়েকদিনে দিল্লির মোট পাঁচ জন সদস্যের শরীরে ধরা পড়ে করোনাভাইরাস। সংখ্যাটি এখন বেড়ে হলো ছয়। গত শুক্রবার দলটির ফিজিও প্যাট্রিক ফারহার্ট, পরদিন স্টাফ চেতন কুমারের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। সোমবার আরও তিন জন- মার্শ, চিকিৎসক অভিজিত সালভি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টিমের আকাশ মানের পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে।

দিল্লি ক্যাপিটালস সোমবার বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে মার্শকে। আক্রান্ত বাকিদের কোনো উপসর্গ নেই।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন ফারহার্টের শরীরে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এবারের আইপিএলে তিনিই প্রথম। যা চিন্তার ভাঁজ ফেলে আয়োজকদের কপালে। ফলে দুই দলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং ওই ম্যাচের পর কোচ ও খেলোয়াড়দের স্বাভাবিক মেলামেশা এড়াতে বলা হয়।

পরে সোমবার পুনের উদ্দেশে দিল্লি দলের রওনা দেওয়ার কথা থাকলেও, তা বাতিল করা হয়। দিল্লি দলকে রুম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়। এরপর আসে ভেন্যু পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত।

জৈব-সুরক্ষা বলয়ে থাকা দিল্লি দলের সবাইকে শনিবার থেকেই প্রতিদিন আরটি-পিসিআর টেস্ট করানো হচ্ছে। মঙ্গলবার চতুর্থ রাউন্ডের পরীক্ষায় দলের বাকিদের সবার ফল নেগেটিভ এসেছে।

এরপর দিল্লি দলকে অনুশীলনের অনুমতি দেওয়া হয়। তাতে ম্যাচ নিয়ে শুরুর শঙ্কা অনেকটা কেটে যায়। কিন্তু নতুন করে আরেকজন কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় সেই শঙ্কা পেল নতুন মাত্রা।

আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, টুর্নামেন্টের জৈব-সুরক্ষা বলয়ের কেউ আক্রান্ত হলে তাকে কমপক্ষে সাত দিন আইসোলেশনে থাকতে হবে। এরপর ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুইবার আরটি-পিসিআর টেস্টে নেগেটিভ ফল আসা সাপেক্ষে আবার তিনি জৈব-সুরক্ষা বলয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির একাধিক সদস্য আক্রান্ত হলে নিয়ম অনুযায়ী, কমপক্ষে ১২জন ক্রিকেটার থাকলে ম্যাচ খেলতে পারবে দলটি। এর মধ্যে ৭ জন হতে হবে ভারতীয়। এমনটা সম্ভব না হলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।

গত বছর ভারতে হওয়া আইপিএল মাঝপথে স্থগিত করা হয়েছিল একের পর এক দলগুলোয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায়। পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হয় টুর্নামেন্টের বাকি অংশ।