চট্টগ্রামের বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম মোজাম্মেল
হক বুধবার এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- আলী আজগর হৃদয়, আজম, ওমর উদ্দিন, শওকত হোসেন ওরফে
শাহ নূর, ফারুক ওরফে আশিক, এস এম আশরাফুল আলম সুমন ও পারভেজ। তাদের মধ্যে সুমন ও পারভেজ
পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আইয়ুব খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মামুনকে
হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাত আসামির সবাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা
করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি ওই ঘটনায় আরেক ভিকটিম আবদুল আজিজকে কুপিয়ে আহত করায় আসামি ওমর
উদ্দিনকে ৩০৭ ধারায় আরও ১০ বছর সাজা এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার উভয়
সাজা একসাথে কার্যকর হবে।
নিহত মামুনের ভাই, মামলার বাদী ইয়াছিন রায়ের পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম যে তিনজন আসামি (আজম, আলী আজগর ও ওমর উদ্দিন) ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি
দিয়েছিল, তাদের হয়ত ফাঁসি হবে। আদালত সাতজনকেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন।
“আসামিরা নিয়মিত মাদক সেবন করত, এসবের ব্যবসাও করত। বাধা দেওয়ায় আমার ভাইকে
হত্যা করা হয়।”
২০১৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর কর্ণফুলী উপজেলার জমাদরপাড়া এলাকায় বাড়ির কাছেই
২৬ বছর বয়সী মামুনুর রশিদ মামুনকে খুন করা হয়।
মামুন ওই এলাকার আবু তাহেরের ছেলে। কর্ণফুলী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি
পদপ্রার্থী ছিলেন মামুন।
কর্ণফুলীতে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
তার শরীরে বিভিন্ন অংশে এলোপাতাড়ি কোপের চিহ্ন ছিল। তার একটি হাত শরীর
থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মামুনের সহযোগী আবদুল আজিজও সেদিন ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন।
পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে নিহত মামুন ছিলেন সবার ছোট। এ ঘটনায় তার ভাই ইয়াসিন
বাদী হয়ে পরদিন হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় ২০১৯ সালের ১১ মার্চ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। অভিযোগ গঠন করা হয়
২০২১ সালের ৫ জানুয়ারি। মামলার
রাষ্ট্রপক্ষে ২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য শুনে আদালত রায় দিল।