বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের সর্বশেষ সাক্ষীর কাছ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণের পর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন এই দিন ঠিক করে দেন।
মামলায় এদিন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে মোট ২৬ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
এর আগের কার্যদিবসে তদন্তের দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদশর্ক লিয়াকত আলীর সাক্ষ্য নেওয়া শেষ হয় বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান।
আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য পড়ে শোনানো হবে। পরে বিচারক জিজ্ঞাসা করবেন তারা দোষী কি না। দোষ স্বীকার করলে শুরু হতে পারে শাস্তি নির্ধারণের কাজ।
নিজেদের নির্দোষ দাবি করলে তারা নিজেদের পক্ষে নিজেরাই এবং সাফাই হিসেবে তাদের পক্ষে অন্য লোকদের সাক্ষী হিসেবে হাজির করতে পারবেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোভিড শনাক্তের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই জেকেজি হেলথকেয়ার ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয়। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে।
এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় ভুক্তভোগী একজনের পক্ষে তার বাড়ির দারোয়ান মামলা করেন।
৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে দুপুরে সাবরিনা ও তার স্বামী জেকেজির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।
অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
এদের মধ্যে শফিকুর ইসলাম জেকেজি হেলথকেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস। তারা সবাই কারাগারে আছেন।
গত ২০ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন
কোভিড-১৯ প্রতারণা: ডা. সাবরিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে ষষ্ঠ সাক্ষ্য