ক্যাটাগরি

বিলাসপণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণের কারণ জানালেন অর্থমন্ত্রী

আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফাইল ছবি

আ হ ম মুস্তফা কামাল। ফাইল ছবি

এই পদক্ষেপকে সাময়িক উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমদানিও স্বাভাবিক ধারায় ফিরবে।

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আমদানি নিয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।

তিনি বলেন, “আমদানি নিয়ন্ত্রণে সব সময় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আমদানি নিয়ন্ত্রণ তো করতেই হবে। এটা তো ওপেন নয়। কিছু কিছু কনজ্যুমার্স আইটেম- যেগুলো আমাদের লাগবেই, সেগুলো তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করব না। কিন্তু লাক্সারি আইটেম আমরা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি এবং করব।”

বিশ্ব ব্যাংকের মার্চ মাসের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে অর্থমন্ত্রী জানান, গত এক বছরে বিশ্বে গমের মূল্য বেড়েছে ৩৮ শতাংশ, গরুর মাংস ৩৫ শতাংশ, মুরগির মাংস ৫৫ শতাংশ, সয়াবিন তেল ৩৭ শতাংশ, চিনি ১১ শতাংশ, চা ১৩ শতাংশ, টিএসপি সার ৬৫ শতাংশ।

“এই মূল্যবৃদ্ধি আমাদেরকেও ভোগায়। আমাদেরকেও উচ্চমূল্যে এসব কিনতে হয়। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন মূল্যবৃদ্ধিজনিত সমস্যা থাকবে না, স্বাভাবিক অবস্থায় থাকলে এসব লাক্সারি আইটেম আমরা এলাও করি,” বলেন তিনি।

নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও শিশুখাদ্যসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ঋণপত্র বা এলসি চালুর ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ মার্জিন বাধ্যতামূলক করে গত ১১ এপ্রিল নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি মনিটরি পলিসি অনুযায়ী যেখানে যা করা দরকার, বাংলাদেশ ব্যাংক তা করছে। ব্যাংক দেশের পরিস্থিতি ও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাকে বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।”

শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতায় রিজার্ভ ধরে রাখতে নেপাল সম্প্রতি আমদানিতে নানা বিধি-নিষেধ আরোপ করে।

আমদানি নিয়ন্ত্রণের প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী কামাল বলেন, “কিছু আমদানি আছে প্রকল্পের সাথে সম্পর্কিত, সেটা আমরা এলাউ করি। কিন্তু যেগুলো বাদ দিলেও পারি সেগুলো বাদ দেওয়ার চেষ্টা করি।

“এখন আমাদের এক্সপোর্ট অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু তারপরও আমদানি বেশি থাকবেই। আগে ইমপোর্ট হয়নি, এখন হচ্ছে। মূলধন যন্ত্রপাতিও আমদানি হচ্ছে। ইমপোর্ট লোড ইনফ্লেশনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে এ ধরনের কাজ করতে হয়।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুন-জানুয়ারি) চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬ কোটি ২০ লাখ ডলার।

আগের অর্থবছরে এ সময়ে চলতি হিসাবের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত ছিল ১৫৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর পুরো ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বছরে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৪৫৮ কোটি ডলার। তার আগে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে ছিল ৫৪৪ কোটি ডলার।