অর্থাৎ, গত বছরের মার্চ
মাসে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, তার জন্য এ বছরের মার্চ মাসে ১০৬ দশমিক
২২ টাকা ব্যয় করতে হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের
অক্টোবর মাসে এর চেয়ে বেশি, ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে
দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ। সে হিসাবে মার্চ মাসে আগের মাসের
তুলনায় এ হার বেড়েছে ০.৫ শতাংশ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান
ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত মাসে দেশে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতি
হয়েছে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ০৪ শতাংশ।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩০ শতাংশের
মধ্যে বেঁধে রাখার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ন্যাশনাল
অ্যাকাউন্টিং উইংয়ের পরিচালক মো. জিয়াউদ্দীন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“মার্চ মাসে খাদ্য বহির্ভূত উপ খাতে পণ্যের মূল্য আগের মাসের তুলনায় সামান্য কমলেও
খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি আরও বেড়েছে। আমদানি করা খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি
আরও বেড়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সারা দেশের বাজার থেকে আমাদের
প্রতিনিধিরা মাসের প্রথম ১৫ দিন পণ্যের মূল্য সংগ্রহ করেন। সেই মূল্য গড় করে আমরা মাসিক
মূল্যস্ফীতি নির্ধারণ করে থাকি।
“গত মাসে জাতীয় এবং গ্রামীণ এলাকায় খাদ্য উপখাতে এবং পণ্যের
দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বলে আমাদের চোখে পড়েছে। ফলে মাসিক মূল্যস্ফীতিও বেড়েছে।”
বিবিএস প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চ মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট
ভিত্তিতে দেশে খাদ্য উপখাতে সাধারণ মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ, যা আগের মাসে
৬ দশমিক ২২ শতাংশ ছিল। গত বছরের মার্চে এই হার ছিল ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ।
আর গত মাসে খাদ্য বহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬
দশমিক ০৪ শতাংশ, যা গত বছরের একই মাসে ছিল ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
এ বছর মার্চে
গ্রামীণ এলাকায় ৬ দশমিক ৫২ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। গত বছরের একই মাসে গ্রামের সাধারণ
মুল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
গ্রামে এ বছর মার্চে
খাদ্য উপখাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক ৭১ শতাংশ, যা এক বছর আগে ৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ
ছিল।
খাদ্য বহির্ভূত উপখাতের গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক
১৫ শতাংশ হয়েছে, যা আগের বছরের মার্চে ছিল ৫ দশমিক ০৩ শতাংশ।
আর শহরাঞ্চলে সাধারণ মূল্যস্ফীতি গত বছরের মার্চের ৫ দশমিক
৩১ শতাংশ থেকে বেড়ে এ বছরের মার্চে ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ হয়েছে।
শহরাঞ্চলের খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়েছে,
যা আগের বছরের মার্চে ছিল ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫
দশমিক ৯০ শতাংশ, যা আগের বছর একই সময়ে ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ ছিল।