বুধবার শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বক্তব্য তার ‘ব্যক্তিগত’, সেটি
‘শিক্ষক সমিতির নয়’।
“শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক জরুরি সভায় মিলিত
হয়ে ওই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায় এবং এই বক্তব্য ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে।”
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ১৭ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি
মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সেখানে অধ্যাপক রহমত উল্লাহ মুজিবনগর সরকারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে
গিয়ে খন্দকার মোশতাক আহমদের প্রতিও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ তাৎক্ষণিকভাবে
ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান এবং তা এক্সপাঞ্জ করার দাবি জানান। পরে উপাচার্য আখতারুজ্জামান
ওই বক্তব্যের অংশটুকু এক্সপাঞ্জ করেন।
এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পরদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন
করে ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে নিজের অবস্থান তুলে ধরে ক্ষমা চান অধ্যাপক রহম উল্লাহ।
তবে ওই বক্তব্যের জন্য অধ্যাপক রহমত উল্লাহর ব্যাখ্যা চাওয়ার কথা জানিয়ে
শিক্ষক সমিতির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে
করে, জাতির ইতিহাসের চরম বিশ্বাসঘাতক, কুলাঙ্গার ও ষড়যন্ত্রকারী মোশতাকের নামে শ্রদ্ধা
নিবেদনের বিষয়টি অগ্রহণযোগ্য ও অত্যন্ত নিন্দনীয়।
“এই ঘৃণিত ব্যক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার
এবং জাতীয় চার নেতার খুনের সাথে সরাসরি জড়িত এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী সকল অপকর্মের
সাথে সম্পৃক্ত। সুতরাং ঘৃণা প্রকাশ ব্যতীত অন্য কোনোভাবে তার নাম উচ্চারণ করার কোনো
অবকাশ নেই বলে শিক্ষক সমিতি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।”
রহমত উল্লাহ তার অবস্থান ব্যাখ্যা করতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন,
“বক্তব্য প্রদানকালে আমি যদি অজ্ঞতাবশত কোনো শব্দ বা বাক্য উচ্চারণ করে থাকি, তা নিতান্তই
আমার অনিচ্ছাকৃত ভুল। এজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
“একই সঙ্গে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির মধ্যে যেন
কোনো ধরনের ভুল বুঝাবুঝি সৃষ্টি না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকার জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার
ধারক-বাহক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী সকলের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।”
আরও পড়ুন:
মোশতাককে ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে বিপাকে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি
মোশতাককে ‘শ্রদ্ধা’: ক্ষমা চাইলেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি
মোশতাককে ‘শ্রদ্ধা’: ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতির বহিষ্কার দাবি