স্বল্প আয়ের ঋণগ্রহীতা ও সরকারি কর্মচারীদের সহায়তার লক্ষ্যে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয়টির বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“শিক্ষাঋণ কখনোই যাবজ্জীবন সাজার মতো হওয়া ঠিক নয়; কিন্তু ঋণমুক্ত হওয়ার চেষ্টায় থাকা অনেক গ্রহীতার কাছে এটা এমনই মনে হচ্ছিল,” বিবৃতিতে বলেছেন মার্কিন শিক্ষামন্ত্রী মিগেল কার্ডোনা।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন প্রায় সকল শিক্ষার্থী ঋণের কিস্তি পরিশোধে সাময়িক বিরতিসহ আগে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল এ পরিকল্পনা তার সঙ্গে যুক্ত হবে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রগতিশীল অংশ দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাপক শিক্ষার্থী ঋণ মওকুফের যেসব দাবি জানিয়ে আসছিল এতে তা পুরোপুরি পূরণ হয়নি।
২০২০ সালের নির্বাচনী প্রচারে বাইডেন প্রত্যেক ঋণগ্রহীতার শিক্ষাঋণ থেকে ১০ হাজার ডলার মওকুফের আহ্বান জানিয়েছিলেন; ওই প্রতিশ্রুতি পূরণে ৪০ হাজার কোটি ডলারের বেশি লাগবে।
বাইডেন নির্বাচিত হওয়ার পর এখন হোয়াইট হাউস বলছে, ব্যাপক আকারে শিক্ষার্থী ঋণ মওকুফে কংগ্রেসকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
সরকার বলেছে, ফেডারেল শিক্ষার্থী ঋণ কর্মসূচিতে ঋণগ্রহীতারা যে সব সুবিধা পান তা দিতে না পারার ‘ঐতিহাসিক ব্যর্থতা’ বিবেচনায় নিয়েই নতুন পদক্ষেপগুলো নেওয়া হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, পাবলিক সার্ভিস লোন ফরগিভনেস (পিএসএলএফ) কর্মসূচীর আওতায় অন্তত ৪০ হাজার গ্রহীতার ঋণ শিগগিরিই বাতিল হবে। ইনকাম-ড্রিভেন রিপেমেন্ট (আইডিআর) কর্মসূচির আওতায় কয়েক হাজার ঋণগ্রহীতার পুরনো ঋণও মওকুফ হবে আর আইডিআর কর্মসূচির আওতায়ই আরও ৩৬ লাখ ঋণগ্রহীতা আরও অন্তত তিন বছরের অর্থ ধার পাবেন।
এসব কর্মসূচি নিম্ন আয়ের ঋণগ্রহীতাদের কী পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে তা নির্ধারণ করে এবং তাদের জন্য নির্ধারিত বছরের পর বাকি অর্থ মওকুফ করে দেয়।
এডুকেশন ডাটা ইনিশিয়েটিভের তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে এখন ফেডারেল ঋণ দপ্তর থেকে নেওয়া ৪ কোটি ৩৪ লাখ লোকের অপরিশোধিত শিক্ষাঋণের পরিমাণ প্রায় এক লাখ ৬০ হাজার কোটি ডলার, অর্থাৎ গড়ে প্রতিজনের ঋণ ৩৭ হাজার ডলারেরও বেশি।
দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম বছর বাইডেন প্রশাসন ৭ লাখ ২৫ হাজার ঋণগ্রহীতার এক হাজার ৭০০ কোটি ডলারে বেশি ঋণ মওকুফ করে দিয়েছিল; ঋণ পরিশোধে সাময়িক বিরতির মেয়াদও বাড়িয়েছিল, যা ৪ কোটি ১০ লাখ ঋণগ্রহীতাকে আপাত স্বস্তিও দিয়েছিল, বলছে মার্কিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়।