বুধবার
সদরঘাট থেকে ৪৩টি রুটে কেবিনের আগাম টিকেট বিক্রি শুরু হয়। তবে বরিশাল ছাড়া অন্য রুটে
আগাম টিকেটের চাহিদা কম দেখা গেছে।
সুন্দরবন গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম ঝন্টু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে জানান, তাদের সাতটি লঞ্চের কেবিনের টিকেট বরিশাল অফিস থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে।
“২৮ ও ২৯ এপ্রিলের কেবিনের টিকেট
প্রায় শেষ পর্যায়ে। অন্যান্য দিনের কেবিনের টিকেটের চাহিদা কম।”
ঈদের
আগে কেবিন টিকেটের চাহিদা বেশি থাকায় খুব কম সংখ্যক
সাধারণ মানুষই কেবিনের আগাম টিকেট পান বলে জানান বিভিন্ন লঞ্চের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আবুল কালাম জানান,সুন্দরবনের ৭টি লঞ্চে প্রায় তিন হাজার কেবিন রয়েছে,
তবে চাহিদা কয়েকগুণ বেশি।
এমভি রিয়াদ লঞ্চের মালিক মামুন উর রশিদ বলেন, “ঢাকা-বরিশাল রুটের লঞ্চের আগাম
কেবিন টিকেটের চাহিদা বেশি। তবে অন্য রুটের আগাম কেবিন টিকেটের চাহিদা কম।”
তিনি জানান, ঢাকা থেকে বরগুনার আমতলী পর্যন্ত যাতায়াত
করা তার লঞ্চে ১০২টি কেবিন রয়েছে, ৩০ এপ্রিলের ৮০টির মত কেবিন টিকেট বিক্রি হলেও অন্যান্য
দিনের টিকেট তেমন বিক্রি হচ্ছে না।
এমভি আওলাদ লঞ্চের ব্যবস্থাপক মো. মাহফুজুল বলেন, “ঈদে সরকারি অনেক বড় বড় কর্মকর্তা
বাড়ি যান। তাই তাদের লোক এসে আগাম টিকেট নিয়ে নেওয়ার কারণে কেবিন টিকেটের সংকট হয়।”
আগাম কেবিন টিকেটের ৪০ শতাংশ সাধারণ যাত্রীরা পায়
জানিয়ে তিনি বলেন, “বুধবার অনেকে সদরঘাটে আগাম টিকেট নিতে এসেছিলেন কিন্তু তারা জাতীয় পরিচয়পত্র
বা জন্ম সনদ সঙ্গে আনেননি।”
তবে যারা পরিচয়পত্র বা জন্ম সনদ এনেছেন তাদের অনেকেই কেবিন টিকেট
কিনেছেন বলে জানান তিনি।
এ
বছর লঞ্চে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ দেখাতে
হবে বলে এর আগে জানিয়েছিল সরকার।
আগাম কেবিন টিকেট কী শেষ কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “শেষ হয়নি, তবে ঢাকা বরিশাল রুটের
আগাম কেবিন টিকেট বিশেষ করে ২৮, ২৯ ও ৩০ এপ্রিলের খুবই চাহিদা।”
সদরঘাট থেকে বরিশাল ছাড়া অন্যান্য রুটের আগাম কেবিন
টিকেট যথেষ্ট রয়েছে বলে জানান তিনি।
এমভি টিপু গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন জানান, তাদের ২০টি
লঞ্চ থাকলেও বুধবার আগাম কেবিন টিকেট নেওয়ার জন্য কেউ যোগাযোগ করেনি। দুই তিনদিন পর বিক্রি
শুরু হতে পারে।
সদরঘাট
থেকে ৪৩টি রুটে লঞ্চ চলাচল করে। সাধারণ সময়ে প্রতিদিন সেখান থেকে গড়ে ৮০টি লঞ্চ যাতায়াত
করলেও ঈদযাত্রায় প্রায় দুইশ লঞ্চ থাকে।
লঞ্চে দুর্ঘটনা এড়াতে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলছে সরকার।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তথ্য অনুযায়ী সারাদেশে
১০৭টির মত নৌরুট রয়েছে।
আরও
পড়ুন