কুমিরা ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া স্পিডবোটটি বুধবার সকাল ১০টার দিকে সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া ঘাটের কাছাকাছি গিয়ে প্রবল বাতাসে উল্টে যায় বলে চট্টগ্রাম নৌ পুলিশের কুমিরা ফাঁড়ির ওসি একরাম উল্লাহ জানান।
নৌযানটিতে
মোট ২২ জন যাত্রী ছিল। দুর্ঘটনার পর নুসরাত জাহান আনিকা নামে ১১ বছর বয়েসী এক শিশুর
লাশ উদ্ধার করা হয়।
সন্দ্বীপ
থানার ওসি বশির আহমদ জানান, দুর্ঘটনার পর ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ শিশুদের
মধ্যে মারা যাওয়া আনিকার ছোট দুই যমজ বোন আদিফা (৮) ও আলিভা (৮) রয়েছে। এছাড়া সৈকত
নামে ছয় বছর বয়েসী আরেকটি শিশুও আছে।
বুধবার
সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই তিন শিশুকে উদ্ধার করা যায়নি বলে জানান সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা সম্রাট খীসা।
তিনি
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্পিড বোট দুর্ঘটনায় এখনো নিখোঁজ আছে দুই যমজ শিশুসহ
তিনজন। দুর্ঘটনার পর থেকে কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় মাঝিদের
সহায়তায় উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
আলোর
স্বল্পতার কারণে সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার
সকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু হবে।
চট্টগ্রামে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আসে এবং পৌনে ১০টার দিকে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। বিভিন্ন উপজেলায় সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে বজ্রপাতসহ বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া যায়।
চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মেঘনাথ তঞ্চংগ্যা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নগরীতে সকালে ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়ছে। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
এদিকে ফটিকছড়ি উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের উপর গাছ পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির রহমান সানি জানিয়েছেন।
ইউনিয়নের ঝরঝরি গ্রামে সকালে ঝড়ের মধ্যে কাঁচা ঘরের ওপর গাছ পড়ে রীনা আক্তার নামে ৪০ বছর বয়েসী ওই নারীর মৃত্যু হয়।