এর মাধ্যমে ‘আর সংঘর্ষ নয়, শান্তি চাই’- এই বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।
মঙ্গলবার প্রথম প্রহর থেকে দিনভর নিউ মার্কেট এলাকার বিভিন্ন বিপণি বিতানের দোকানকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়।
এই সংঘর্ষে এক পথচারী নিহত হন, আহত হয় অর্ধ শত ব্যক্তি। সংঘর্ষের কারণে মঙ্গলবার সারাদিনে ওই এলাকার প্রায় ৭৫টি বিপণি বিতানের কোনো দোকান খোলেনি।
বুধবার সকালে পরিস্থিতি আপাত শান্ত হওয়ার পর ওই এলাকা বিভিন্ন বিপণি বিতানের ছাদে সাদা পতাকা উড়তে দেখা যায়।
ঢাকা কলেজের বিপরীতে ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেটের উপরে তিনটি সাদা পতাকা, নূর ম্যানশনের ছাদে দুটি, নিউ মার্কেটের বিপরীতে গাউছিয়া মার্কেটের ছাদে একটি, ইসমাইল ম্যানশনের ছাদে দুটি পতাকা উড়তে দেখা যায়।
ধানমণ্ডি হকার্স মার্কেটের ‘নীলিমা শাড়ি’ দোকানের এক কর্মচারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনেক ক্ষতি হয়েছে গত দুই দিনে, আর ক্ষতি চাই না। তাই শান্তির প্রতীক হিসেবে ছাদে পতাকা ওড়ানো হয়েছে।”
নূর ম্যানশনের ‘সালোয়ার কামিজ’ দোকানের মালিক শহিদুল বলেন, “দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে কাবু হয়ে গেছি, আর এই ঈদেই যা একটু ব্যবসা হয়। অন্য সময় কোনোরকম চলি- সমান সমান, লাভ হয় না।”
ঈদের আগে কেনা-বেচায় যখন সরগরম থাকার কথা নিউ মার্কেট এলাকা, তখন এই সংঘর্ষের কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ীরা দোকান খুলতে চাইলেও সংঘর্ষের ঘটনার ‘সমাধান করার আগে’ দোকান খোলা হলে আবারও বিক্ষোভে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
খুলতে শুরু করেছে দোকানপাট, সুষ্ঠু তদন্ত দাবি ব্যবসায়ীদের
‘সুরাহা না করে’ মার্কেট খুললে ফের বিক্ষোভ, হুঁশিয়ারি ঢাকা কলেজের ছাত্রদের
এর মধ্যে বিকালে ঢাকা কলেজের সামনে কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটে।
এরপর মিরপুর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, যা সকালে শুরু হয়েছিল।