ক্যাটাগরি

সুপার কাপ: অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ দাবি স্প‍্যানিশ ফুটবল প্রধানের

এই অভিযোগে তোলপার চলছে স্পেনে। দেশটির ফুটবল প্রধান রুবিয়ালেস জানিয়েছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া। পুরো বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।

এল কনফিডেনশিয়াল গত সোমবার তাদের ওয়েবসাইটে ২০১৯ সালে রুবিয়ালেস ও বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জেরার্দ পিকের মধ‍্যে কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং ফাঁস করে। সেখানে সুপার কাপ সৌদি আরবে আয়োজন করা নিয়ে এই দুই জনকে কথা বলতে শোনা যায়।

এল কনফিডেনশিয়ালের প্রতিবেদনে বলা হয়, পিকের প্রতিষ্ঠান কসমস মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে হতে যাওয়া সুপার কাপের ছয়টি আসরের জন্য কমিশন হিসেবে দুই কোটি ২৪ লাখ ইউরো পেয়েছে। পিকে এই দাবি অস্বীকার করেছেন।

অডিও ফাঁসের দুই দিন পর বুধবার সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থান তুলে ধরেন রুবিয়ালেস।

“প্রকাশিত সব মিথ্যাচারের জন্য আমি বিরক্ত এবং আমার মোবাইল থেকে অবৈধভাবে তথ্য চুরি করার জন্য অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।”

সংবাদ সম্মেলনে রুবিয়ালেসকে সমর্থন জানাতে প্রায় এক ডজন আঞ্চলিক ফুটবল প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা সময় নিয়ে ৪৪ বছর বয়সী রুবিয়ালেস সুপার কাপের চুক্তিতে পিকের সম্পৃক্ততার বিষয়টি তুলে ধরেন সাংবাদিকদের সামনে।

“প্রকাশিত চুক্তিটি একটি পূর্ববর্তী সংস্করণ যা কখনই আলোর মুখ দেখেনি। এটি প্রথম দিকের একটি খসড়া ছিল এবং আমরা স্প‍্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন সদর দফতরে দুই ঘণ্টার বৈঠকে (এল কনফিডেনশিয়ালের) সাংবাদিককে এটি ব্যাখ্যা করেছি, কিন্তু তিনি তা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।”

“সুপার কাপের জন্য একটি নতুন ফরম্যাটের প্রস্তাব নিয়ে আমাদের সঙ্গে কসমস যোগাযোগ করেছিল, আমাদের সেটা পছন্দ হয়েছিল এবং তাদের প্রস্তাবটি নিয়ে এগিয়ে যেতে বলেছিলাম।”

রুবিয়ালেস আরও জানান, পিকের সঙ্গে তাদেরে কোনো চুক্তি হয়নি এবং বার্সেলোনা তারকার কোম্পানিকে কমিশনের পুরোটা সৌদি আরব দিয়েছিল।

তিন আসরের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি সুপার কাপ আয়োজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর ২০১৯-২০ মৌসুমে বসে সেখানে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে পরের আসর অবশ্য হয় স্পেনেই।

শুরু থেকেই দেশের বাইরে সুপার কাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার মুখে ছিল স্প‍্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন। যেখানে উঠে এসেছিল সৌদি আরবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিও।

তবে রুবিয়ালেস নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে অবিচল। তিনি বলেন, সব দিক থেকে সৌদি আরবের চুক্তিটি সেরা ছিল বলেই তারা এতে সম্মত হয়েছিলেন।

“আমাদের এথিকস কমিটি সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি করতে সমর্থন দিয়েছিল। কারণ আমাদের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল যে, সেখানে নারীদের ফুটবল লিগ শুরু হবে। আরও বলা হয়েছিল যে নারীরা নির্দ্বিধায় স্টেডিয়ামে যেতে পারবেন এবং তাদের আলাদা রাখা হবে না।”

“সৌদি আরবের সঙ্গে স্প্যানিশ কোম্পানির শত শত ব্যবসায়িক প্রকল্প রয়েছে। তাহলে ফুটবল কেন পারবে না?”

রুবিয়ালেস জানান, চুক্তি অনুযায়ী তাদের ৪০ কোটি ইউরো দেবে সৌদি আরব। এর অর্ধেক পাবে নিচের সারির দল ও বিভাগগুলো।