উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের গোয়ালগ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ইমরান শেখ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রভাব বিস্তার করে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের একটি সেতুর নিচে মাটি ফেলে বন্ধ করে দিয়েছেন।
ইমরান বলেন, “সেতু বন্ধ হলে আমার কিছু করার নেই। সেতুর মধ্যে আমার জমি রয়েছে। তাই আমি আমার নিজস্ব দলিলের জমিতে বাড়ি করছি। আমার পাশেই অনেকে খাসজমিতে বাড়ি-পুকুর করেছে। সেখানে কেউ কিছু বলে না।
“এখনে সেতু কোনো কাজে আসে না। তাই আমি অকার্যকর সরকারি সেতুর মুখ বন্ধ করে দিচ্ছি। সেতু বন্ধ করে সেখানে বসতঘর বানাচ্ছি।”
এতে ওই এলাকার কৃষিজমি জলাবদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
গোয়ালগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর বলেন, “গোয়ালগ্রাম ও পাশের পদ্মবিলা গ্রামের ১৫০ বিঘা জমির পানি এই সেতুর নিচ দিয়ে চলাচল করে। সেতুর মুখ বন্ধ করায় পানি চলাচলা বন্ধ হয়ে যাবে। এতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এলাকার কৃষক গুরুতর ক্ষতির মুখে পড়বে।”
এলাকাবাসী অনুরোধ করলেও ইমরান শেখ গুরুত্ব দেননি। পরে তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান। তারা অভিযোগ দেন কৃষি কর্মকর্তার কাছে।
মাহমুদপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. দাউদ হোসেন বলেন, “মাহমুদপুর গ্রাম, সাতাশিয়া গ্রাম ও গোয়াল গ্রামে এ ধরনের সমস্যা রয়েছে। এখানে কৃষি বিভাগের হাত নেই। তিন গ্রামের কৃষককে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর আবেদন করতে বলেছি। সহকারী কমিশনার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন। তাহলে কৃষক জলাবদ্ধতা থেকে রক্ষা পবে।”
কাশিয়ানী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মোরশেদুল ইসলাম এখনও অভিযোগ পাননি বলে জানান।
তিনি বলেন, “অভিযোগ পাওয়ামাত্র আমরা অভিযান পরিচালনা করব।”
তবে পরে তিনি সেতুর নিচে মাটি ফেলা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বুধবার বিকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি এ তথ্য জানান।