ক্যাটাগরি

স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্পের ‘ধীরগতিতে’ অসন্তোষ

২০১৭ সালে যখন এই প্রকল্প নেওয়া হয়, তখন প্রাক্কলিত ব্যয় তিন হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধরা হয়। সময় বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়ানো হয় ব্যয়ও। ব্যয় বেড়ে ৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা দাঁড়ালেও এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে মাত্র ১৮ শতাংশ।

এটির মতো স্থানীয় সরকার বিভাগের আরও প্রকল্পে ধীরগতি দেখে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব কমিটি।

প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণ অনুসন্ধান করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে একটি প্রতিবেদন দিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুমিত হিসাব কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আবদুস শহীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্থানীয় সরকার বিভাগ ১৮৫টি প্রকল্পের তথ্য দিয়েছে। এরমধ্যে অনেক প্রকল্পের অগ্রগতি শূন্যের পর্যায়ে। অনেকগুলো প্রকল্পে দেখা গেছে, আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি প্রায় সমান। অর্থাৎ যতটুকু টাকা খরচ করা হয়েছে, বাস্তবে কাজও ততটুকু হয়েছে। এটা হওয়ার কথা নয়। আর্থিক অগ্রগতির চেয়ে বাস্তব অগ্রগতি বেশি হওয়ার কথা। এটি সমান হওয়ার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ। অনেক প্রকল্প আছে সংসদ সদস্যরা ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন, কিন্তু কাজ এগোচ্ছে না।”

“এই কাজগুলো শেষ করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছে কমিটি। এ ছাড়া কোন প্রকল্প কতবার সংশোধন করা হয়েছে, তা জানাতে বলা হয়েছে।”

সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকল্পে ধীরগতিতে কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রকল্পগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো প্রথম পর্যায়ে ও কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলো দ্বিতীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন সংসদ সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কমিটি বেশ কিছুদিন আগেই প্রকল্পগুলোর তথ্য চেয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয় এসব তথ্য কমিটিকে সরবরাহ করেছে বৈঠকের আগের দিন। তথ্য দিতে দেরি করায় কমিটি বৈঠকে ক্ষোভ প্রকাশ করে।”

বৈঠকে কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, বেশিরভাগ প্রকল্প বারবার সংশোধন করা হচ্ছে। শুরুতে কেন সবকিছু যথাযথভাবে পর্যালোচনা করা হয় না। সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে প্রকল্প পরিচালকদের দায়িত্ব নিতে হবে, প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

ওই সংসদ সদস্য জানান, ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ যেসব প্রকল্প শেষ পর্যায়ে আছে সেগুলো জাতীয় নির্বাচনের আগেই শেষ করার তাগিদ দেয় কমিটি।

কমিটির সভাপতি আব্দুস শহীদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, এ বি তাজুল ইসলাম, আহসান আদেলুর রহমান, ওয়াসিকা আয়শা খান ও খাদিজাতুল আনোয়ার অংশ নেন।