আধুনিক প্রসাধনী সামগ্রীর ভীড়ে উপটানের কথা হারিয়ে যাচ্ছে
বললেই চলে। অথচ প্রাচীনকাল থেকেই উপটান রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে। বিভিন্ন ভেষজ উপাদান,
হলুদ, বেসন ও বাদামের গুঁড়া মিশিয়ে তৈরি করা হত এই রূপচর্চার পণ্য।
পানিতে গুলে পেস্ট তৈরি করে মুখে সাধারণভাবে মালিশ করে
শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই ত্বকে আসে স্বাভাবিক লাবণ্য।
টাইমস অব ইন্ডিয়াতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উপটানের নানান
উপকারিতার কথা জানান ভারতের ‘মাদার স্পার্শ’য়ের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক
হিমাংশু গান্ধী।
কোনো রাসায়নিক
প্রতিক্রিয়া নেই
রাসায়নিক উপাদান ভিত্তিক ক্রিম বা প্রসাধনী ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
নিয়ে ভয় থাকে। আর তা দীর্ঘমেয়াদে ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি উপটান
ত্বকে কোনো ক্ষতি করে না। বরং নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে ও ত্বক ভালো থাকে।
হাইপারপিগ্মেন্টেশন
কমায়
ত্বকে হাইপার পিগ্মেন্টেশন ও রংয়ের ভারসাম্যহীনতা কমাতে
উপটান উপকারী। ত্বকে কিছুক্ষণ আলতোভাবে উপটান মালিশ করে শুকানোর জন্য অপেক্ষা করতে
হবে। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। নিয়মিত উপটান ব্যবহারে ত্বক সতেজ হয় ও উজ্জ্বলভাব
আসে।
নিয়মিত উপটান ব্যবহারে ত্বকের বিবর্ণতা ঢাকতে বাড়তি মেইকআপের
প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া নিয়মিত পরিচর্যায় ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ফলে।
এক্সফলিয়েট
ত্বক ভালো রাখতে ও মৃত কোষ দূর করতে এক্সফলিয়েটিংয়ের বিকল্প
নেই। যারা নিয়মিত উপটান ব্যবহার করেন তাদের জন্য এই ধাপ আলাদাভাবে অনুসরণ করার প্রয়োজন
নেই। মুখ ও হাত পায়ে উপটান ব্যবহার করে আলতোভাবে মালিশ করে ধুয়ে ফেললে তা ত্বকের ওপরের
স্তরের মৃত কোষ দূর করে এবং সজীবভাব আনে।
ত্বকে মসৃণভাব
গ্রীষ্মের খরতাপে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। ত্বক ভালো রাখতে
এই সময় প্রচুর পানি পান করা উচিত। পাশাপাশি গোলাপের পাপড়ি, জাফরান বা কমলার খোসা যুক্ত
উপটান ব্যবহার ত্বকে উজ্জ্বলভাব আনে। আর ত্বক মসৃণ ও কোমল রাখতে সহায়তা করে।
সব ধরনের ত্বক
মানানসই
তৈলাক্ত, সাধারণ বা মিশ্র যে কোনো ত্বকের যত্নে উপটান ব্যবহার
করা যায়। এর সঙ্গে কাঁচা দুধ, পানি, মধু ইত্যাদি যোগ করে ব্যবহার করা ভালো ফলাফল দেয়।
শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু এবং তৈলাক্ত ত্বকে দুধ বা পানি যোগ করে উপটান ব্যবহার বেশি উপকারী।
ছবির প্রতীকী মডেল:
জেসমিন জুঁই। ছবি সৌজন্যে: ত্রয়ী ফটোগ্রাফি স্টুডিও।
আরও পড়ুন