সেই সেঙ্গ তিনি ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে
মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে পুলিশ সদর দপ্তরের এক
সংবাদ বিজ্ঞপিতে জানানো হয়।
সেখানে বলা হয়, বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এক
ভার্চুয়াল বৈঠকে ঈদ সামনে রেখে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেন আইজিপি।
পুলিশ কর্মকর্তাদের দেশ ও জনগণের সেবায় কাজ করার আহ্বান জানিয়ে
আইজিপি বলেন, “কোভিড-১৯ এর ক্রান্তিকালে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে অনেক মানুষ
গ্রামে যাবেন। পুলিশের প্রতিটি ইউনিটের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে এসব মানুষের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”
এক্ষেত্রে তিনি বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে
সমন্বয়ের পাশপাশি নৌ পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ
ইউনিটকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়র নির্দেশ দেন।
“আইজি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস ও ট্রেনের ছাদে এবং নৌযানে অতিরিক্ত
যাত্রী হয়ে ভ্রমণ না করার জন্য যাত্রীসাধারণের প্রতি অনুরোধ জানান,” বলা হয় সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে।
সভায় সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি- অপারেশন্স) মোহাম্মদ এহসান
সাত্তার ঈদকে ন্দ্র করে শপিং মল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বাস ও লঞ্চ
টার্মিনাল এবং রেল স্টেশন, ঈদ জামাত এবং বিনোদন কেন্দ্র কেন্দ্রিক নিরাপত্তা,
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা এবং বাহিনীর কল্যাণ সংক্রান্ত সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন।
শপিং মল, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক নিরাপত্তায়
পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি নারী পুলিশ ও সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন এবং বড়
ধরনের আর্থিক লেনদেন বা অর্থ পরিবহনের ক্ষেত্রে ‘মানি এস্কর্ট’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত
হয় সভায়।
জাতীয় ঈদগাহসহ দেশের প্রধান প্রধান ঈদ জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত
করার বিষয়েও সভায় আলোচনা হয়।
অতিরিক্ত আইজি মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজি এম খুরশীদ
হোসেন, ডিআইজি ওয়াই এম বেলালুর রহমান, ডিআইজি মো. হায়দার আলী খান, সকল মহানগরের
পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলার পুলিশ সুপার এবং বিশেষায়িত ইউনিটের
কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।