বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের
নবীনগর হাউজিং এলাকায় গরুগুলোর মৃত্যু ঘটে।
খামারের মালিক রিনা আক্তারের
অভিযোগ, সেন্টু মিয়া নামে ‘পুলিশের এক সোর্স’ কিছুদিন আগে তার স্বামীকে ‘গাঁজা দিয়ে’
পুলিশে ধরিয়ে দেয়। এরপর সে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। ওই টাকা না দেওয়ায় বুধবার রাতের
কোনো এক সময় তার সাতটি গরুকে বিষ খাওয়ায়।
“প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে রাত
৮টা পর্যন্ত তিনবেলা আমি গরুগুলোর দেখাশুনা করি। গতকাল রাত ৮টার দিকে গরুকে খাবার দিয়ে
বাসায় ফিরি। রাতে বোনের সন্তান হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলাস। হাসপাতালে যাওয়ার
আগেও রাত সাড়ে ১০টার দিকে একবার গরুগুলো দেখে গেছি।
“হাসপাতাল থেকে সকালে ফেরার
পর ছোট ছেলেকে স্কুলে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে ডেকে তুলেছি। এর মধ্যে সকাল ১০টার দিকে
আমার বড় ছেলে গরুগুলোকে খাবার দিতে গিয়ে দেখে- দুটো গাভী আর দুটো ষাঁড় মরে পড়ে আছে।
বাকি একটা গাভী আর দুটো ষাঁড় অসুস্থ হয়ে মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছে।”
শিউলি বলেন, “কিছুদিন আগে
সেন্টু এসে চাঁদা চেয়ে বলেছিল- ‘না দিলে সব শেষ করে দেব’। আজ ঠিকই আমাদের সব শেষ করে
দিল।”
তবে সেন্টু মিয়া তার বিরুদ্ধে
আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “গরুর মৃত্যু বা চাঁদা দাবির সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা
নাই।”
কয়েকমাস আগে বেড়াতে গিয়ে
শিউলির ছেলে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছিলেন, ওই ঘটনার পর সেন্টুসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
করা হলেও ‘পুলিশ তাকে বাদ দেয়’ বলে শিউলির অভিযোগ।
তিনি বলেন, “এরপর থেকেই সেন্টু
কয়কজনের সহায়তায় আমাদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে, পুলিশ দিয়ে আমার স্বামীকে মাদক দিয়ে
ধরিয়ে দিয়েছে।“
অন্যদিকে সেন্টুর দাবি, তার
চায়ের দোকান আছে, সেখানে পুলিশ আসে; এ থেকেই পুলিশের সাথে সম্পর্ক। শিউলীর স্বামীকে
তিনি ‘কখনোই ধরিয়ে দেননি’।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মোহাম্মদপুর
থানার ওসি আব্দুল লতিফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গরু হত্যার অভিযোগ পাওয়ার
পর বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন।
“ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। পশুর
ডাক্তারকে ডাকা হয়েছে। আমাদের এ ব্যাপারে যা করণীয়, তা করা হবে।”
শিউলির স্বামীর গ্রেপ্তার
বা সেন্টুর বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এ পুলিশ কর্মকর্তা।