‘স্টাবলিসিং ডিজিটাল কানেক্টিভিটি’ নামের
ওই প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ ৪৯৮ টাকা ব্যয় ধরা
হয়েছে, চীনের দেওয়া ঋণ থেকে অর্থায়নের ৮০ শতাংশ মেটানো হবে।
বুধবার
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায় বলে
জানান মন্ত্রিপষিদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
তিনি
বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধিদপ্তরের প্রস্তাবে ‘স্টাবলিশিং
ডিজিটাল কানেক্টিভিটি’ প্রকল্পের
আওতায় চীনের কাছ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে প্রয়োজনীয়
পণ্য, ভৌত কাজ এবং সেবা চীনের
রাষ্ট্র মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে
ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের কাছ থেকে ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৪৯৮ টাকায় কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থায়নের ৮০ শতাংশ আসবে চীনের ঋণ থেকে।
এই প্রকল্পে শিক্ষা, যোগাযোগসহ
সরকারের অনেকগুলো খাত এই প্রকল্পে যুক্ত থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ, সবকিছু
অনলাইনে নিয়ে আসা, সারাদেশেকে একই নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসা, এর মাধ্যমে উৎপাদন,
সক্ষমতা বাড়ানো এসব হচ্ছে এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। সারাদেশের মানুষকে প্রশিক্ষণ
দিয়ে ডিজিটাল কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য উপযোগী করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
হাইস্কুল ও কলেজের ক্লাসে যুক্ত হবে ডিজিটাল তৎপরতা।”
প্রকল্পের মধ্যে ল্যাপটপ,
এলইডি টিভি, জিপিইউ কম্পিউটিং লোড, সিএইচ২২০ সার্ভার, ১১ ভিএলএসআই ল্যাব থাকবে,
থ্রিডি ল্যাব থাকবে, রোবটিকস ল্যাব, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৪৫ লেন কানেকশন থাকবে,
সার্ভার ইনফ্রাস্ট্রাকচার থাকবে, নেটওয়ার্ক অপারেশন সেন্টার, লাইভ ভার্চুয়াল
ক্লাসরুম সিস্টেম, স্মার্ট লেসন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড পাবলিসিং সিস্টেম, কনটেন্ট
প্লাটফর্ম, ইন্টিগ্রেডেটেড স্মার্ট সেনসর ডিভাইসের মাধ্যমে ডিজিটাল ভিলেজ হবে
১০টি, ২০৫৩ বর্গমিটারের ২১ তলা একটি ভবন হবে।
অর্থমন্ত্রী
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “এটা একটি
ভালো প্রকল্প। সেখানে অনেক জনবল কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।”
সিপিডির
গবেষণার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, “করোনার
মাঝেও দেশে এক লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে ই-কমার্স খাতে। একইখাতে চলতি বছরে
আরও পাঁচ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এই প্রকল্পটি সেই কর্মসংস্থানের
সুযোগকে আরও এগিয়ে নেবে।”
কাজ
দেওয়ার বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “ক্রয়
কমিটিতে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে মৌলিক দুইটা বিষয় বিবেচনা করা হয়। একটি
হচ্ছে এই প্রকল্পটি সরকারের জন্য কতটা রাজস্ব আহরণ করতে পারবে। যেই ঋণ বা সহযোগিতা
নেওয়া হল, সেই প্রকল্প থেকে টাকাটা উঠে আসবে কি না? আরেকটি হচ্ছে কর্মসংস্থান। এই
প্রকলপটি বাস্তবায়িত হলে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে আমার বিশ্বাস।”
এদিনের
বৈঠকে ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ছাড়াও আরও সাতটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর মধ্যে
রয়েছে খাদ্য অধিদপ্তরের
প্রস্তাবে ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্সের কাছ থেকে ১৭২ কোটি ৫ লাখ ৮ হাজার ৯০০ টাকায় ৫০ হাজার
টন গম কেনার প্রস্তাব। এতে প্রতিকেজি গমের দাম পড়ছে
৩৪ টাকা ৪১ পয়সা।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম
কর্পোরেশন, বিপিসির প্রস্তাবে ৫৮৮ কোটি টাকায় ইন্দোনেশিয়ার বুমি সিয়াক পুসাকো জাপিনের কাছ থেকে এক লাখ টন
হাই সালফার ফার্নেস অয়েল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি লিটারের ফার্নেস
ক্রয়মূল্য দাঁড়ায় ৫৮ টাকা। আর বাজারে বর্তমানে খুচরা পর্যায়ে ৭৮ টাকা নির্ধারন করে দিয়েছে বিপিসি।