বৃহস্পতিবার
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা যদি ট্রেইনড, শিক্ষিত, দক্ষ,
সচেতন- এই সমস্ত বিষয়গুলো নিশ্চিত করে যদি আমরা বিদেশে পাঠাতে পারি, তাহলে আমরা আমাদের
দায়িত্ব কিছুটা পূরণ করতে পারলাম জনগণের প্রতি।”
নারী অভিবাসীদের
নিয়ে কাজ করা ২২টি সংগঠনের নবগঠিত জোট ‘নারী অভিবাসীদের সম্মিলিত কণ্ঠের’ আত্মপ্রকাশ
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর এবক্তব্য আসে।
কানাডা
সরকারের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের অর্থায়ন ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত
হয়েছে নতুন এই জোট।
ব্র্যাকের
এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ বাংলাদেশি
নারী কাজ নিয়ে গেছেন। এরমধ্যে সৌদি আরবে গেছেন প্রায় আড়াই লাখ।
তাদের
অনেকেই নানা সঙ্কটে পড়ে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তবে এ পর্যন্ত নির্যাতন কিংবা
প্রতারণার শিকার হয়ে কতজন নারী শ্রমিক দেশে ফেরত এসেছেন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।
বিদেশে
নারীকর্মীরা যৌনসহ নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হওয়ায় নারীদের না পাঠানোর দাবি জানিয়ে
আসছে বিভিন্ন সংগঠন।
অনুষ্ঠানে
ইমরান বলেন, অভিবাসী নারীকর্মীরা রেমিটেন্সের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু সেই নারীরাই নানাভাবে অবহেলিত। বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে তারা
জানেন না, তারা কোথায় যাচ্ছেন বা গিয়ে কী করবেন?
কোনো দেশে
নির্যাতিত হলে দেশে আসার আগে সেখানকার কর্তৃপক্ষকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে ইমরান বলেন,
“যে দেশে নির্যাতন হয়, সেখানে যদি রিপোর্ট না করা হয়, তখন দেশে এসে রিপোর্ট করা, এটা
(বিচার পাওয়া) কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, আইনের একটা ব্যাপার আছে, ঘটনাস্থলে প্রথমে রিপোর্ট
করতে হয়।”
অনুষ্ঠানে
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, “জেনে বুঝে বিদেশ যেতে
হবে। কোথায় যাচ্ছেন, কীভাবে যাচ্ছেন, এটা আপনার পরিবারের জন্য কস্ট ইফেকটিভ হবে কি
না, এই জিনিসটা যদি আমরা করতে পারি, আমরা একসাথে কাজ করতে পারব।”