বৃহস্পতিবারের এ হামলায় নিহতের এই সংখ্যা জানান এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
একইদিনে উত্তরাঞ্চলের আরেক নগরী কুন্দুজে ভিন্ন আরেকটি হামলা হয়েছে। এতে অন্তত ১১ জন হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাদেশিক এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
আইএস মাজার-ই-শরিফের মসজিদে হামলার দায় স্বীকার করে তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে বিবৃতি দিয়েছে। তবে কুন্দুজে হামলার দায় তারা স্বীকার করেনি। তাছাড়া, এসব হামলার ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র আছে কিনা তাও স্পষ্ট হয়নি।
আফগানিস্তানের তালেবান শাসকরা আইএস কে পরাজিত করেছে বলে দাবি করে আসছে। কিন্তু এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি এখনও আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি শিয়া হাজার এলাকার হাইস্কুলে কয়েকদিন আগেই বোমা হামলায় অন্তত ৬ জন নিহতের ঘটনার দুইদিন পরই নতুন করে এই হামলা হল।
মাজার-ই-শরিফের তালেবান কমান্ডারের মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, শিয়া মসজিদের ভেতরে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে ১১ জন নিহত এবং ৩২ জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছেন প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র।
আফগানিস্তানে শিয়া সংখ্যালঘুরা প্রায়ই আইএস-সহ বিভিন্ন সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠীর হামলার শিকার হয়ে আসছে। কুন্দুজের প্রাদেশিক স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ থেকে সেখানে হামলার ঘটনায় আহত কিংবা নিহত ১১ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
আফগান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, কুন্দুজে সামরিক মেকানিকদের একটি ভ্যান রাস্তার ধারে পেতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে উড়ে যায়। আহতদের মধ্যে আছে স্কুলে পড়ুয়ারাও।
তিনি জানান, রাজধানী কাবুলেও রাস্তার ধারে পেতে রাখা আরেকটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে এক শিশুসহ তিনজন আহত হয়।