তারা হলেন- মহিন উদ্দিন (২৫), সুজন (২৬), নাইমুল ইসলাম (২১) ও আকবর হোসেন (২৬)।
নোয়াখালীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তৌহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সবজেল হোসেন জানান।
গত ১৩ এপ্রিল বিকালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পূর্ব হাজিপুর গ্রামে বাড়ির পাশে একদল হামলকারীর গুলিতে চার বছরের শিশু তাসকিয়া আক্তার জান্নাত নিহত হয়। ওই সময় তাসকিয়া তার বাবা মো. আবু জাহেরের কোলে ছিল। হামলায় এই বাবাও আহত হন।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও অস্ত্র আইনে মামলা হয়; গ্রেপ্তার করা হয় পাঁচজনকে।
পরিদর্শক সবজেল বলেন, চরজব্বর থানায় র্যাবের দায়ের করা অস্ত্র মামলায় চার আসামিকে দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের তাসকিয়া হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য অনুমতি এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমান্ডে চাওয়া হয়। বিচারক তৌহিদুল ইসলাম পাঁচ দিন অনুমোদন করেন।
সন্ধ্যায় একই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মামলার প্রধান আসামি রিমন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তাসকিয়া হত্যার পরদিন তার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
তাছাড়া মঙ্গলবার রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বর থানার চরক্লার্ক থেকে তাসকিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি রিমনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সে সময় তাদের কাছ থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে র্যাবের উপ-সহকারী পরিচালক বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন।