ক্যাটাগরি

মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি স্থায়ী ঠিকানা পাচ্ছে আগারগাঁওয়ে

সেখানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ১০ কাঠা জমির ওপর একটি ১৬তলা ভবন নির্মাণের
কাজে হাত দিয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তর ও স্থাপত্য অধিদপ্তর। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৮ মাসের
মধ্যে এ নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা।

বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর
স্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, “২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জায়গাটার অনুমোদন দিয়েছেন।
দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও কেন কাজ শুরু হলো না, তা দেখে আমি অবাক হচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি,
এখন কাজ শুরু হবে। সঠিক সময়ে সঠিকভাবে ভবনটি নির্মাণ হবে।”

ক্ষুদ্রঋণের সঙ্গে জড়িতদের নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে মানুষের মাঝে ‘ভালো কথা,
ভালো কাজের’ প্রচলন ঘটানোর আহ্বান জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ
সারা বিশ্বে সুপরিচিত। আপনারা দেশের অগ্রসরমান মানুষ, শিক্ষিত মানুষ। আপনারা কথা বলেন
খুব সুন্দর করে।

“আপনারা আপনাদের প্রভাব দিয়ে দেশের সব মানুষকে ভালো কাজে যুক্ত হতে উৎসাহিত
করবেন। ভালো কাজ করলে আল্লাহর কাছে যে বিনিময় পাওয়া যায়, সেই বিনিময়ের জন্যই ভালো কাজের
সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে, মানুষজনকে ভালো ও কল্যাণের পরামর্শ দিতে হবে।”

আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ বলেন, “নামটি
মাইক্রো ক্রেডিট হলেও আসলে বিষয়টি অনেক বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ। এদেশে অনেক মানুষ আছে,
যারা কাজ পাচ্ছে না। যারা কাজ পাচ্ছে না তাদের কী হবে? এদেরকে কাজে লাগানোটা এখন আমাদের
জন্য চ্যালেঞ্জ।

“তাদেরকে বিভিন্নভাবে বিনিয়োগ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। সেজন্য
মাইক্রো ক্রেডিট হচ্ছে একটা উপায়, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। আজকে
মাইক্রো ক্রেডিট অথরিটি নিজস্ব একটি ভবন পাওয়ার পথ উন্মুক্ত হবে। এর সূত্র ধরে সংস্থার
কাজ আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে।”

ক্ষুদ্রঋণ খাতে প্রতিদিন ৭০০ কোটি টাকার লেনদেন হয় জানিয়ে বাংলাদেশ মাইক্রোক্রেডিট
রেগুলেটরি অথরিটির নির্বাহী সহসভাপতি ফসিউল্লাহ বলেন, “প্রতি বছর ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি
টাকা লেনদেন হয়। এই খাতের গ্রাহকদের ৪০ থেকে ৪৫ হাজার কোটি টাকার সঞ্চয় রয়েছে। এই মানুষগুলোকে
সেবা দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি “