হিমাগারটিতে এক লাখ ৬৬ হাজার বস্তার প্রতিটিতে ৫০ কেজি করে আলু আছে বলে জানালেও কী পরিমাণ আলুতে পচন ধরেছে তা বলতে পারেননি ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন।
জেলার পবা উপজেলার মদনহাটি এলাকার এই হিমাগারে মাত্র মাস খানেক আগেই আলু তোলেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। বুধবার সকালে পচনের খবর ছড়ালে তারা হিমাগারের সামনে অবস্থান নিয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
স্থানীয় আলু ব্যবসায়ী কামরুল মিয়া বলেন, “বর্তমানে ৫০ কেজি আলুর বস্তার দাম ৬০০ টাকা। সেই হিসাবে হিমাগারের সব আলু পচে গেলে ক্ষতি হবে ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকার।”
কামরুল সাত হাজার বস্তা আলু রেখেছেন জানিয়ে বলেন, “এখন জানতে পারছি আমার সব আলু পচে গেছে। যে বস্তা খোলা হচ্ছে সেখান থেকেই বের হচ্ছে পচা আলু। বস্তায় একটা আলু পচে যাওয়া মানে সব আলু নষ্ট হওয়া। এগুলো আর খাওয়ার উপযোগী থাকে না।
“ক্ষতিপূরণ না দিলে আমি পথে বসে যাব।”
যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আলুতে পচন ধরেছে বলে বলে রাজশাহী জেলা কৃষি কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করলে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ক্ষতিপূরণ আদায়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
হিমাগার কর্তৃপক্ষও ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে।
হিমাগারের ব্যবস্থাপক ফারুক মিয়া বলেন, “নানা কারণে আলু পচতে পারে। আলুর মান খারাপ হলেও পচে যায়। কেন পচেছে তা জানি না। কী পরিমাণ পচেছে সে হিসাবও এখনও করা হয়নি। হিসাব করে মালিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।”