এর মধ্যে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ
আদায়ের পাশাপাশি ওই এলাকায় দায়িত্বরত পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেওয়ার
দাবিও রয়েছে।
বুধবার রাতে কলেজ মিলনায়তনে সংবাদ
সম্মেলন করে এই দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারিও
দেয় তারা।
এদিকে সংবাদ সম্মেলন শেষে রাত ১২টার
পর বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা
পরিষদে (সায়েন্স ল্যাবরেটরি) সমঝোতা বৈঠকে যায় শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি
দল।
এই বৈঠকে ব্যবসায়ীদের চারজন প্রতিনিধি
এবং স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষকরাও রয়েছেন।
নিউ মার্কেটের দোকানকর্মীদের সঙ্গে
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর মঙ্গল ও বুধবার দিনভর অচল হয়ে আছে রাজধানীর
ব্যস্ত ওই এলাকা।
বুধবার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে
কিছু বিপণি বিতানের দোকান খোলা শুরু হলেও বিকালে ঢাকা কলেজের সামনে কয়েকটি হাতবোমা বিস্ফোরণের পর সব দোকান আবার বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকা কলেজের সামনে হাতবোমা ফাটার পর ফের বন্ধ দোকান-সড়ক
এরপর রাতে সংবাদ সম্মেলনে আসেন ঢাকা
কলেজের শিক্ষার্থীরা। এর উদ্যোক্তা ছিলেন ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী
মাসুম বিল্লাহ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সুজন বালা।
তাদের দাবিগুলো
১. এই হামলার উসকানিদাতা, ইন্ধনদাতা
ও হামলাকারীদের তদন্ত সাপেক্ষে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. আহত সব শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার
দায়ভার নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিতে হবে।
৩. হকারদের হামলায় নিহত পথচারী নাহিদ
হাসানের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৪. রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের উপর
হামলাকারীদের ভিডিও দেখে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
৫. দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর
ডিসি, এডিসি ও নিউ মার্কেট থানার ওসিকে প্রত্যাহার করতে হবে। পুলিশ প্রশাসনকে কলেজ
প্রশাসনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
৬. প্রতিটি মার্কেট ও দোকানে সিসি
ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
৭. প্রতিটি মার্কেটে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের
জন্য আচরণ বিধি প্রণয়ন ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে হবে।
৮. ফুটপাত দখলমুক্ত, অবৈধ কার পার্কিং
উচ্ছেদ ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
৯. ক্রেতা হয়রানি, নারীদের যৌন হয়রানি
বন্ধে একটি বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করে ক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
১০. চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট ও নিউ
সুপার মার্কেটে ঢাকা কলেজের সম্পদ লিজ বাতিল করে ফিরিয়ে দিতে হবে।
সুজয় বালা বলেন, “এই দাবি অনতিবিলম্বে কার্যকর করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তিনি
বলেন, “ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি হারুন-অর-রশিদসহ অন্যরা
ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না করে বিতর্কিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।”
মাসুম বিল্লাহ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার
ইন্ধনদাতা হিসেবে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে তাদের শাস্তির দাবি জানান।