ক্যাটাগরি

সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে সৌজন্য
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি। 

সংঘর্ষে সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণের বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে-
এ প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সেখানে একটি ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি কারা
ঘটিয়েছে, সেটা খুঁজে বের করা হচ্ছে। সেখানে আজ পর্যন্ত দুইজন মারা গেছে। 

“সেখানে যারা নিউজ কভার করতে গেছে তাদেরকে কী ছাত্ররা আক্রমণ করেছে?
নাকি ব্যবসায়ীরা আক্রমণ করেছে? সেটা খুঁজে বের করে বিচার হবে। এটার সাথে
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্পর্কিত নয়।”

সোমবার রাতে দুই দোকানের কর্মচারীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের
জেরে ঢাকা কলেজ ও নিউ মার্কেটের দোকান মালিক কর্মচারীদের মধ্যে সংঘর্ষ গড়ায়। মধ্যরাত
থেকে মঙ্গলবার সারাদিন সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন, তাদের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষের সময় সেখনে সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্বে থাকা সংবাদকর্মীরাও হামলার
শিকার হন। কয়েকজনকে ভিডিও করতে বাধা দেওয়া হয়, এমনকি মারধরও করা হয়।  

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে জানতে চাইলে
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “রাষ্ট্রদূত মূলত সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছেন। সেখানে আমাদের মধ্যে
অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা গণমাধ্যম নিয়ে আলোচনা করেছি। বাংলাদেশের
গণমাধ্যম কীভাবে কাজ করে এবং সোশাল মিডিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি। সারা বিশ্বব্যাপী সোশাল
মিডিয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা হয়েছে। 

“আমরা জানিয়েছি, বাংলাদেশের গণমাধ্যম যেভাবে কাজ করে, অনেক
উন্নয়নশীল দেশে এভাবে কাজ করতে পারে না। তাকে আমি ইউকের গণমাধ্যমের উদাহরণ দিয়েছি,
সেখানে গণমাধ্যমে ভুল সংবাদ পরিবেশন হলে, কারও বিরুদ্ধে অসত্য সংবাদ পরিবেশিত হলে,
কারও চরিত্র হনন করা হলে সেখানে যেমন গণমাধ্যমকে ফাইন গুনতে হয়, ব্যবস্থা নেওয়া হয়,
সেটা আমাদের দেশে সেভাবে নাই। আমি এই তুলনামূলক চিত্রগুলো তার সামনে উপস্থাপন
করেছি।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার জন্য
রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

“বাংলাদেশ সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ দমনে যেভাবে কাজ করছে, তিনিও সেটার
প্রশংসা করেছেন। আশা করছি ভবিষ্যতে আমাদের সম্পর্ক উত্তরোত্তর গভীর হবে, সেটা নিয়ে
আলোচনা করেছি।”

র‌্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনায়
এসেছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “র‌্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা
দিয়েছে, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়েছে। সেটি উঠিয়ে
নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেছি। 

“সেটাও একটি প্রসেসের মাধ্যমে হতে হবে। যেভাবে হয়েছে, সেই দীর্ঘ
প্রসেসের মাধ্যমে করতে হবে। একটু দীর্ঘ হবে, সেটাই বলেছেন।”