লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে বিকেএসপিতে বৃহস্পতিবার ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন এনামুল। চলতি আসরে তার রান হয়ে গেল ৮৭৮। লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এক আসরে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড এটিই।
রেকর্ড গড়া থেকে স্রেফ ১০ রান দূরে এই ম্যাচ শুরু করেছিলেন এনামুল। রূপগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ওভারে নাবিল সামাদকে বাউন্ডারি মেরে শুরু করেন তিনি। দ্বিতীয় ওভারে আল আমিন হোসেনকে বাউন্ডারি মেরে স্পর্শ করেন রেকর্ড, পরের বলে আরেকটি বাউন্ডারিতে যান ছাড়িয়ে।
আগের রেকর্ডটি ছিল সাইফ হাসানের। ২০১৯ সালের লিগে প্রাইম দোলেশ্বর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ৮১৪ রান করেছিলেন এই ওপেনার। ওই বছরের লিগেই লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ৮০৭ করেছিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
সাইফ ও নাঈমের ওই রান ছিল ১৬ ইনিংসে। এনামুল ছাড়িয়ে গেলেন ১২ ইনিংসেই।
১২ ইনিংসের ৯টিতেই এবার পঞ্চাশ ছুঁয়েছেন এনামুল। সেঞ্চুরি করেছেন দুটি। লিগে আরও তিনটি ম্যাচ তিনি পাবেন। রেকর্ড সমৃদ্ধ করার সুযোগও তাই থাকবে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার অবশ্য ১০ বছরও হয়নি এখনও। একসময় দেশের মূল ক্রিকেটের আকর্ষণই ছিল ঐতিহ্যবাহী এই টুর্নামেন্ট। বরাবরই এটি ছিল দেশের ক্রিকেটের মূল প্রতিযোগিতা। তবে বিসিবির উদ্যোগের অভাবে লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পেতে দেরি হয়ে যায় অনেক। ২০১৩ সালের আসর থেকে অবশেষে লিস্ট ‘এ’ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে এই লিগ।
লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার আগে অনেক রেকর্ডই সংরক্ষিত নেই এই লিগের। বিশেষ করে সত্তর, আশি, নব্বইয়ের দশকের বেশির ভাগ পরিসংখ্যানই নেই। তাই সব মিলিয়ে রেকর্ডটি কার, তা বলা মুশকিল। রেকর্ডে থাকা পরিসংখ্যান বলছে, ২০০১ সালের লিগে মোহামেডানের কেনিয়ান ক্রিকেটার স্টিভ টিকোলো ১৬ ইনিংসে করেছিলেন ১ হাজার ২২৭ রান। সেই যুগেই তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১১২.২৫, গড় ৯৪.৩৮।
এছাড়া ওই লিগেই সিটি ক্লাবের পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান ওয়াসিম নাঈম করেছিলেন ৯৯০ রান, বাংলাদেশ বিমানের পাকিস্তান ব্যাটসম্যান মাজিদ সাঈদ করেছিলেন ৯১২। ২০১১-১২ লিগে ১৬ ইনিংসে ৯৫১ রান করেছিলেন মুশফিকুর রহিম।
এছাড়াও আগে নানা সময়ে অনেকের দারুণ সব মৌসুমের কথা জানা যায়। তবে সংরক্ষিত আছে সেসবের সামান্যই।