ক্যাটাগরি

দুই ‘প্রেমিকাকে’ একসঙ্গে বিয়ে করে আলোচনায় পঞ্চগড়ের যুবক

উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদ্বার
গ্রামের যামিনী চন্দ্র বর্মণের ছেলে রোহিনী চন্দ্র বর্মণ রনি (২৫) বুধবার রাতে একই
গ্রামের টোনো কিশোর রায়ের মেয়ে মমতা রানী (১৮) এবং উপজেলার গাঠিয়াপাড়া এলাকার গিরিশ
চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানীকে (২০) বিয়ে করেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ পেলে
বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। দুই নববধূকে দেখতে উৎসুক মানুষ ভিড় করেন যামিনী চন্দ্র বর্মণের
বাড়িতে।

শুক্রবার সকালে বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দুই
নববধূ বাড়ির কাজ করছেন। শাশুড়ি তদারক করছেন। তারা ‘ভালো ও সুখে আছেন’ বলে জানালেন।

এ সময় রোহিনীকে বাড়ি পাওয়া যায়নি। পরে মোবাইলে
যোগাযোগ করা হলেও রোহিনী কথা বলতে রাজি হননি।

বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খায়রুল ইসলাম
সাংবাদিকদের বলেন, রোহিনীর সঙ্গে ইতির দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কয়েক মাস আগে
তারা পালিয়ে গিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেন। কিন্তু দুজনই বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন।

এদিকে মমতার সঙ্গেও রোহিনীর প্রেমের সম্পর্ক
গড়ে ওঠে। রোহিনী ১২ এপ্রিল রাতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে যান। তখন সেখানে দুজনকে একত্রে
দেখে ফেলেন মমতার পরিবারের লোকজন। তাকে সেখানে আটকে রাখা হয়।

পরদিন ১৩ এপ্রিল মমতা ও রনির বিয়ে দিয়ে দেন
পরিবারের লোকজন। রোহিনী বাড়ি ফিরে এলেও মামতা বাবার বাড়ি থেকে যান।

এ খবর পেয়ে বুধবার সকালে গাঠিয়াপাড়া থেকে
ইতি চলে আসেন লক্ষ্মীদ্বার গ্রামে। তিনি স্ত্রীর দাবি নিয়ে রোহিনীর বাড়িতে অবস্থান
নেন। খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন। তারপর স্ত্রীর দাবি নিয়ে সেখানে আসেন মমতাও।

একপর্যায়ে বুধবার রাতে তিন পরিবারের উপস্থিতিতে
রোহিনীর বাড়িতে আবার বিয়ের আয়োজন করা হয়। তখন রোহিনীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে দুই নারীর
বিয়ে দেন পুরোহিত।    

রোহিনীর বাবা যামিনী চন্দ্র বর্মণ বলেন,
“তাদের আগের বিয়েগুলোর বিষয়ে আমাদের কিছু জানা ছিল না। তাই, নতুন করে আমি আবার তাদের
বিয়ের ব্যবস্থা করেছি। তাদের বিয়ে নিয়ে আমাদের পরিবারের কোনো আপত্তি নেই। এজন্য দুজনকে
একসঙ্গে ঘরে তুলে দিয়েছি।“

বলরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার
হোসেন বলেন, “দুজনকে বিয়ে করে ঘরে তোলার কথা শুনেছি। এ নিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।
তাই আমরাও এ নিয়ে আর মাথা ঘামাইনি।”