শুক্রবার বিকালে ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলপূর্ব আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, “সরকারের ব্যর্থতার কারণে আজকে দেশে এক দুঃসহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা দেখেছেন যে, কয়েকদিন আগে নিউ মার্কেট অঞ্চলে ছাত্র ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে সংঘর্ষ, সেই সংষর্ষ সম্পূর্ণভাবে সরকারের ব্যর্থতা ও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে যে, শুধু নিষ্ক্রিয়তার নয়- তাদের ইন্ধনে এটা হয়েছে।
“এজন্য যে, আমরা দেখেছি, পরবর্তীকালে বিভিন্ন মিডিয়ায় ও পত্র পত্রিকায় যে সংবাদগুলো এসেছে সেই সংবাদে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, এই সন্ত্রাসের সাথে সম্পূর্ণভাবে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত ছিল।”
এ ঘটনায় বিএনপি ও ছাত্র নেতাদের দায়ী করে পুলিশের মামলা দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফখরুল অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার এবং সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদেরকে আইনের আওতায় আনার আহবান জানান।
গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার দিনভর রাজধানীর নিউ মার্কেট এলাকায় দোকান মালিক ও কর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংষর্ষের ঘটনায় চারটি মামলা হয়েছে।
পুলিশ বাদী হওয়া একটি মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মকবুল হোসনকে। নিউ মার্কেট থানা বিএনপির সাবেক এ সভাপতিকে শুক্রবার বিকালে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
নিউ মার্কেটে পুলিশ ‘নিস্ক্রিয় কেন’, প্রশ্ন ফখরুলের
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, “আজকে এই সরকার আমাদের সমস্ত অধিকারগুলোকে কেড়ে নিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের অধিকার, আমাদের ভোটের অধিকার, আমাদের আদালতের স্বাধীনতা, আমাদের বাক স্বাধীনতা সব কিছুকে এরা ধবংস করে দিয়েছে। এককথায় এই রাষ্ট্রকে তারা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।”
এমন প্রেক্ষাপটে তিনি পেশাজীবী সবাইকে ‘দেশ রক্ষায়’ জনমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভায় তিনি দেশের আর্থ সামজিক অবস্থার পরিবর্তন ও দুঃস্থ মানবতার সেবায় জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কার্য্ক্রমের প্রশংসা করেন।
সভায় ফাউন্ডেশনের সভাপতি তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ডা. পারেভজ রেজা কাননের সঞ্চালনায় সভায় বিএনপির মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ গুম হওয়া নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।
ইফতারে অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, আনহ আখতার হোসেন, আনোয়ার উদ্দিন উজ্জ্বলসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।