নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) গোলাম মোস্তফা জানান, সমিতির সোনাপুর জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক বলাই মিত্রকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটিকে আগামি তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে কারও গাফিলতির প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়া ঢাকায় সমিতির প্রধান কার্যালয় থেকে দুই সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান গোলাম মোস্তফা। তবে, ওই কমিটির সদস্যদের পরিচয় এবং কতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারননি তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার পূর্বচরবাটা ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের কালা মসজিদ এলাকায় দুইদিন আগে ঝড়ে ছিঁড়ে পড়ে থাকা পল্লীবিদ্যুতের তারে জড়িয়ে কোহিনূর বেগম (৩৫) ও তার তিন বছরের ছেলে ইয়াছিনের মৃত্যু হয়।
জেলার হাতিয়া উপজেলার চরফকিরা গ্রামের নেছার উদ্দিনের স্ত্রী কোহিনুর পূর্বচরবাটা গ্রামের খায়রুল হাসানের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
স্থানীয়রা ওই বাড়ির পাশে মেহগনি বাগানে বিদ্যুতের ছেঁড়া তারে জড়ানো মা-ছেলের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। সন্ধ্যায় তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বুধবার রাতে ঝড়ে এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনের তার ছিঁড়ে পড়ে থাকে। বিষয়টি স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে জানানো হলেও তারা লাইন মেরামত না করেই বিদ্যুৎ লাইন চালু করে।
এ বিষয়ে সুবর্ণচর পল্লীবিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক সফিউল হক জাহাঙ্গীর বলেন, বুধবার রাতে ঝড়ে গাছের ডাল পড়ে তার ছিঁড়ে যায়। রাত থেকে বিভিন্ন স্থানে এসব ছেঁড়া তার মেরামত করা হয়। কিন্তু পূর্বচরবাটায় তার ছিঁড়ে যাওয়ার বিষয়টি কেউ অবহিত করেনি। মা ও ছেলের মৃত্যুর খবরের পর লাইন বন্ধ রেখে মেরামতের জন্য লোক পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। সুবর্ণচরের ভূঞারহাট পুলিশ ফাঁড়ি থানার পরিদর্শক শাহ্ আলম জানান।