ক্যাটাগরি

বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে বাটলারের আরেকটি সেঞ্চুরি, খরুচে মুস্তাফিজ

মুম্বাইয়ের
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শুক্রবার রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে ৬৫ বলে ১১৬ রানের টর্নেডো
ইনিংস খেলেন বাটলার। ৯টি ছক্কার সঙ্গে চারও মারেন ৯টি।

টানা
দ্বিতীয় এবং চলতি আসরে ৩১ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের তৃতীয় সেঞ্চুরি এটি। 

আইপিএলের
এক আসরে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল বিরাট কোহলির। ২০১৬ সালের আসরে রেকর্ড
৯৭৩ রান করার পথে কোহলি চারটি সেঞ্চুরি করেছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালোরের
হয়ে। 

স্বীকৃত
টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারের প্রথম ২৫৯ ইনিংসে বাটলারের ছিল না কোনো সেঞ্চুরি। পরের
২৪ ইনিংসেই করে ফেললেন ৫টি!

আইপিএলের
গত ও চলতি আসর মিলিয়ে সবশেষ ৮ ইনিংসেই তার সেঞ্চুরি হলো ৪টি, সবগুলোই রাজস্থানের হয়ে। দলটির জার্সিতে দুটির
বেশি সেঞ্চুরি নেই আর কারও।

বাটলারের
খুনে সেঞ্চুরি, দেবদূত
পাডিক্কালের ফিফটি ও সাঞ্জু স্যামসনের ১৯ বলে ৪৬ রানের সৌজন্যে রাজস্থান স্রেফ ২
উইকেট হারিয়ে তোলে ২২২ রান। এবারের আসরে যা সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

দিল্লির
প্রত্যেক বোলার রান বিলিয়ে দেন দুই হাতে। বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ ৪
ওভারে ৪৩ রান দিয়ে নেন বাটলারের উইকেট। অন্য উইকেটটি খলিল আহমেদের। ভারতীয় পেসার ৪
ওভারে দেন ৪৭ রান।   

রাজস্থান
ব্যাটিংয়ে নামে টস হেরে। খলিলের প্রথম ওভারে বাটলার দুটি চার পেয়ে যান ব্যাটের
কানায় লেগে।

একটা
পর্যায়ে তার রান ছিল ১৪ বলে ১১। এরপরই তোলেন ঝড়। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে খলিলের
চার বলের মধ্যে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ডানা মেলে দেন তিনি। 

এরপর
শুধু এগিয়ে চলার পালা। স্পিনার কুলদিপ যাদবকে পরপর মারেন ছক্কা-চার। পেসার শার্দুল
ঠাকুরকে ১০৭ মিটার ছক্কায় ওড়ান ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে। বাউন্ডারিতে পঞ্চাশ
স্পর্শ করেন তিনি ৩৬ বলে।

পরে
ললিতের চার বলের মধ্যে দুটি ছক্কার সঙ্গে চার মারেন একটি। কুলদিপকে পরপর দুই ছক্কা
হাঁকিয়ে পৌঁছে যান নম্বইয়ের ঘরে।

এরপর
ডাবল নিয়ে কাঙ্ক্ষিত তিন অঙ্কে পা রাখেন ৫৭ বলে। ওই ওভারেই আরেক ওপেনার
পাডিক্কালের (৩৫ বলে ৫৪) বিদায়ে ভাঙে ১৫৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।

সেঞ্চুরির
পর বাটলার আরও একটি করে চার-ছক্কা মারেন ১৯তম ওভারে মুস্তাফিজের প্রথম দুই বলে। ওই
ওভারেই বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার বিস্ফোরক ইনিংসটি। 

মুস্তাফিজ
এ দিন পাওয়ার প্লেতে এক ওভার বোলিং করে দেন ১৪ রান। তাকে টানা তিনটি বাউন্ডারি
মারেন পাডিক্কাল। 

একদশ
ওভারে বোলিংয়ে ফিরে অবশ্য ভালো বোলিং করেন তিনি। দেন কেবল ৬ রান। ১৭তম ওভারে করেন
নিজের তৃতীয়টি, এবার
দেন ৯ রান। কোটার শেষ ওভারে আবার ১৪ রান দিয়ে তার প্রাপ্তি বাটলারের উইকেটটি। 

আসরে
বাটলার প্রথম সেঞ্চুরিটি করেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে, ৬৮ বলে ১০০। পরে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে
৬১ বলে খেলেন ১০৩ রানের ইনিংস। 

আসরে
৭ ইনিংসে ৮১.৮৩ গড় আর ১৬১.৫১ স্ট্রাইক রেটে তার রান এখন ৪৯১। তিনটি সেঞ্চুরির পাশে
ফিফটি দুটি।