চলতি মৌসুমের শুরু থেকে উল্টো পথে ছিল রিয়াল ও বার্সেলোনা। স্পেনের সফলতম দলটি এগিয়ে যাচ্ছিল শিরোপা পুনরুদ্ধারের অভিযানে আর বার্সেলোনার তখনকার কোচ রোনাল্ড কুমানের দলকে লড়তে হচ্ছিল পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ দশে থাকতেই।
কাম্প নউয়ের দলটির টানা ব্যর্থতার কারণে গত অক্টোবরে ছাঁটাই করা হয় ডাচ কোচকে। নভেম্বরে তার স্থলাভিষিক্ত হন শাভি এরনান্দেস। তার হাত ধরে ধীরে ধীরে নিজেদের ফিরে পেতে শুরু করে বার্সেলোনা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিলেও লা লিগায় ধারাবাহিক পারফরম্যান্সে কক্ষপথে ফেরে তারা। ছন্দ ধরে রেখে পয়েন্ট তালিকায় এগোতে থাকে দ্রুত।
শাভি যখন দায়িত্ব নেন, তখন কাতালান দলটি লিগে নবম স্থানে ছিল। তার কোচিংয়ে লিগে এখন পর্যন্ত মাত্র দুই বার হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে বার্সেলোনা। দারুণ কয়েকটি সাফল্যের মধ্যে রয়েছে ক্লাসিকোয় রিয়ালের মাঠে ৪-০ গোলের জয়।
সবশেষ গত বৃহস্পতিবার রিয়াল সোসিয়েদাদকে ১-০ গোলে হারিয়ে দুইয়ে ফিরেছে বার্সেলোনা। ৩২ ম্যাচে ১৮ জয় ও ৯ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৬৩। শিরোপা লড়াইয়ে এখনও ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে দলটির। রিয়ালের সঙ্গে লড়াইয়ে এখন আছে কেবল তারাই।
তবে ৩৩ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা রিয়ালকে টপকে শিরোপা উঁচিয়ে ধরবে বার্সেলোনা, এমনটা হতে পারে কেবল অতি নাটকীয় কিছু হলেই।
কারণ শিরোপা পুনরুদ্ধার করতে বাকি পাঁচ ম্যাচে কার্লো আনচেলত্তির দলের প্রয়োজন কেবল ৪ পয়েন্ট।
এ বছরের শুরু থেকে দল ছন্দে থাকার পরও শিরোপা লড়াইয়ে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ জানানো যাচ্ছে না, এজন্য নিজেদের দেরিতে জ্বলে ওঠাকেই কারণ হিসেবে দেখছেন আলভেস। সোসিয়েদাদ ম্যাচের পর মুভিস্টারপ্লাসকে এ কথা বলেন ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার।
“তারা (রিয়াল মাদ্রিদ) ভাগ্যবান যে, আমরা আরও আগে স্বরুপে ফিরতে পারিনি। আমরা সবসময় অন্যভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত জীবন তো এমনই। শিরোপা লড়াইয়ে আমাদের যোগ দিতে দেরি হয়ে গেছে এবং তাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে আমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে।”
“প্রতিদ্বন্দ্বীর শক্তি এবং লিগে তাদের অবস্থানের কারণে আমরা জানতাম যে লড়াই করা কঠিন হবে। আমি জোর দিয়েই বলছি, আমরা আরও আগে নিজেদের ফিরে না পাওয়ায় রিয়াল নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতে পারে।”