শুক্রবার
সকালে রামগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ তাদেরকে আটক
করে বলে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
দুপুরে
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ের বলা হয়, প্রতারকরা প্রশ্ন ফাঁস ও উত্তর
সরবরাহের শর্তে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে ১০ লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ হয়। তখন তাদের কাছ
থেকে স্বাক্ষর করা খালি চেক, মূল সনদপত্র নিয়ে নেয়। আটকদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও ছয়জন
নারী রয়েছে।
“প্রথমে
রামগঞ্জ পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দনপুর এলাকার ‘আমিরুন ন্নেছা’ ভবনের তৃতীয়
তলা থেকে মাহমুদুল হোসাইন ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তারকে আটক করা হয়। সেখান থেকে
ভুয়া প্রশ্নপত্রসহ ছয় নারী পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
পুলিশ
সুপার বলেন, পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান
চালিয়ে জামাল উদ্দিন সবুজসহ আরও পাঁচজনকে আটক করা হয়।
তাদের
কাছ থেকে উত্তর সম্বলিত সাত সেট ভুয়া প্রশ্নপত্র, ১২টি পরীক্ষার প্রবেশপত্র,
স্বাক্ষর ও স্বাক্ষরবিহীন বিভিন্ন ব্যাংকের পাঁচটি খালি চেকের পাতা, ছয় সেট মূল
সনদ, আটটি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
আটক
১২ জনের বাড়ি রামগঞ্জ এবং একজনের বাড়ি সদরে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।