টেস্ট ইতিহাসের সফলতম পেসারের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে খুব খুশি ২৭ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার।
ল্যাঙ্কাশায়ারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর হাসান বলেছিলেন, অ্যান্ডারসনের কাছ থেকে শিখে সুইং শিল্পে আরও হাত পাকিয়ে নিতে চান এবং এজন্য তর সইছে না তার। ইংলিশ কিংবদন্তির সঙ্গে প্রথম মাঠে নেমেই দারুণ পারফরম্যান্সে দিনটাকে রাঙালেন হাসান।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বৃহস্পতিবার গ্লস্টারশায়ারের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে হাসান ৬ উইকেট নেন কেবল ৪৭ রান দিয়ে। ১৭ ওভারের ৬টি করেন মেডেন।
কেন্টের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৪৩ ওভারে ১১ মেডেনে ৯৪ রানে হাসান নেন ৫ উইকেট। ল্যাঙ্কাশায়ারের ঘরের ছেলে অ্যান্ডারসন ওই ম্যাচে খেলেননি।
গ্লস্টারশায়ারের বিপক্ষে অ্যান্ডারসনের সঙ্গেই নতুন বলে বোলিং শুরু করেন হাসান। পাঁচ ওভারের প্রথম স্পেলে কোনো উইকেট তিনি পাননি। দ্বিতীয় স্পেলে ক্রিস ডেন্টকে স্লিপে ক্যাচ বানিয়ে তিনিই ভাঙেন শুরুর জুটি।
নতুন বলে দুই প্রান্তে ল্যাঙ্কাশায়ারের বোলিং শুরু করেন অ্যান্ডারসন ও হাসান। ছবি: ল্যাঙ্কাশায়ার
তৃতীয় স্পেলে ফিরে পরপর দুই বলে ফিরিয়ে দেন মিলস হ্যামন্ড ও টম লেসকে। আর চতুর্থ স্পেলে টানা তিন ওভারে জশ শ, জ্যারেড ওয়ার্নার ও অজিত ডেলের উইকেট নিয়ে তিনিই গুটিয়ে দেন গ্লস্টারশায়ারের ইনিংস।
৬ উইকেট নিয়ে হাসান মাঠ ছাড়ার সময় হাততালি দিয়ে তাকে অভিনন্দন জানান টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি পেসার অ্যান্ডারসন (৬৪০ উইকেট)। দিনের খেলা শেষে ল্যাঙ্কাশায়ারের টুইটার পেইজে ভিডিও বার্তায় হাসান বললেন, বিষয়টি ছুঁয়ে গেছে তাকে।
“পাঁচ উইকেট নেওয়া একজন ফাস্ট বোলারের জন্য সব সময়ই বিশেষ কিছু। আর এটি আমার জন্য খুবই স্পেশাল, বিশেষ করে গ্রেট জিমি ভাইয়ের সঙ্গে বোলিং করার জন্য। মনে আছে, যখন আমি মাঠ ছাড়ছিলাম, তিনি আমার জন্য হাততালি দিচ্ছিলেন। গ্রেট জিমি ভাই আমার পারফরম্যান্সে অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন, দারুণ এক মুহূর্ত।”
অ্যান্ডারসনের পাশে বোলিং করতে শুরুতে কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগছিলেন বলেও জানালেন হাসান।
“তার সঙ্গে বোলিং করতে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম, কিন্তু তিনি আমাকে সমর্থন দেন এবং আমাকে উৎসাহ জোগান।”
ইংল্যান্ড টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ার পর এই ম্যাচ দিয়েই ক্রিকেটে ফিরলেন অ্যান্ডারসন। প্রথম ইনিংসে ৩০ রান দিয়ে কোনো উইকেট অবশ্য তিনি পাননি। তবে তার ১৬ ওভারের ৭টিই ছিল মেডেন।