তিনি বলেন, “আমাদের দেশের দক্ষিণ এবং পূর্বে দখলদাররা এই সব কিছু করে যাচ্ছে যাতে কিছু এলাকায় জয় পাওয়া নিয়ে তাদের কথা বলার একটি যৌক্তিক কারণ তারা পেতে পারে।”
“তারা সেনা জড়ো করছে, আমাদের ভূমিতে নতুন ব্যাটেলিয়ন ট্যাকটিকাল গ্রুপ পরিচালনা করছে, এমনকী ইউক্রেইনের দখলকৃত অঞ্চলগুলোতে তথাকথিত সেনাসমাবেশ শুরু করারও চেষ্টা চালাচ্ছে।”
কিন্তু জেলেনস্কি বলেন, “এসব পদক্ষেপের কোনটিই আমাদের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে সহায়ক হবে না। এগুলো করে তারা কেবল অনিবার্য পরিণতির মুখোমুখি হওয়ার মুহূর্তটি ঘনিয়ে আসায় বিলম্ব ঘটাতে পারবে; সেই মূহুর্ত যখন দখলদারদেরকে আমাদের ভূখণ্ড ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হতে হবে।”
বিবিসি জানায়, ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে এখনও তুমুল লড়াই এবং গোলাবর্ষণ চলছে। বৃহস্পতিবার ওই অঞ্চলে রাতভর আরও ভারি গোলাবর্ষণ হয়েছে।
রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন এক সামরিক কমান্ডার বলেছেন, ইউক্রেইনে দ্বিতীয় ধাপের সামরিক অভিযানে রাশিয়া দনবাস অঞ্চল এবং দক্ষিণ ইউক্রেইনের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে।
তাছাড়া, পূর্ব ইউক্রেইনের দনবাস অঞ্চল এবং ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের মধ্যে একটি ভূমি করিডোর বানানোর পরিকল্পনাও রাশিয়ার আছে বলে রুশ গণমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছেন দেশটির সামরিক বাহিনীর এক উপকামান্ডার।
আর ইউক্রেইনের দক্ষিণাঞ্চলের দখল নিতে পারলে ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় ঢোকার পথ খুলে যাবে বলেও জানান তিনি। ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার অবস্থান মলদোভার রাজধানী থেকে ১২৮ কিলোমিটার পূর্বে ইউক্রেইন সীমান্তে।
১৯৯০ সালে রাশিয়া সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মলদোভা থেকে ট্রান্সনিস্ট্রিয়া অঞ্চলটি বিচ্ছিন্ন করে নিজেদের স্বাধীন দেশ বলে ঘোষণা করেছিল। সেখানে এখনও রাশিয়ার একটি সেনাঘাঁটি রয়েছে, যেখানে প্রায় দেড় হাজার রুশ সেনা মোতায়েন আছে।