ক্যাটাগরি

তীব্র কালবৈশাখী ঢাকায়, বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার

আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম জানান, বিকাল ৩টার পর রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় ঝড়ের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৮৩ কিলোমিটার।

গত বুধবার ভোরে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী সামান্য স্বস্ত্বি দিয়েছিল রাজধানীবাসীকে। সেদিন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠেছিল। তারপর আবার সেই গরম।

শুক্রবার দুপরে মেঘ জমে আঁধার হয়ে আসে ঢাকার আকাশ। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয় দমকা হাওয়া। শিলাবৃষ্টি আর বজ্রপাত নিয়ে আসে কালবৈশাখী।

শুক্রবার ছুটির দিনের দুপুর থেকেই কালো মেঘে ঢেকে যায় ঢাকার আকাশ, কালবৈশাখীর সঙ্গে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

শুক্রবার ছুটির দিনের দুপুর থেকেই কালো মেঘে ঢেকে যায় ঢাকার আকাশ, কালবৈশাখীর সঙ্গে শুরু হয় ঝুম বৃষ্টি। ছবি: মাহমুদ জামান অভি

আধা ঘণ্টার বৃষ্টিতে বৈশাখের গরমে নাগরিক জীবনে আসছে স্বস্তি। ওই সময়ে ঢাকায় ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

তবে পথচলতি মানুষ, গণপরিবহনের যাত্রী আর ছুটির দিনে ঈদবাজার করতে বিপণিকেন্দ্রে যাওয়া ক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়েন। বিপাকে পড়েন ইফতার সাজিয়ে বসার প্রস্তুতিতে থাকা বিক্রেতারা।

কেবল ঢাকায় নয়, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী হয়েছে। অবশ্য ঝড় জল যে হতে পারে, সে পূর্বাভাস আগেই দিয়ে রেখেছিল আবহাওয়া অফিস।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ঝড়ের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের সামনে এবং খিলগাঁও পুরাতন পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গাছ পড়ে গেছে। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।


ঢাকায় ৭০ কিলোমিটার গতির বাতাস নিয়ে কালবৈশাখী, ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি
 

আবহাওয়াবিদ শাহিনুল ইসলাম বলেন, এখন ঝড়-বৃষ্টির মৌসুম, এমন আবহাওয়াই স্বাভাবিক। দিনের বাকি সময়টা এবং রাতেও এমন আবহাওয়া থাকতে পারে কোথাও কোথাও।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়ার সাথে প্রবল বিজলী চমকানোসহ বৃষ্টি/ বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।  

শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল রাজশাহীতে, ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঝড়বৃষ্টিতে সেই তাপ ধীরে ধীরে কাটছে।

আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এপ্রিল মাসে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। দেশের অন্যত্র তিন থেকে পাঁচ দিন বজ্র ও শিলাবৃষ্টিসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে।

এ মাসে দেশের কোথাও কোথাও দুই থেকে তিনটি মৃদু তাপপ্রবাহ অথবা মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।