শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ফরিদপুর
সদর জেনারেল হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, ডায়রিয়া ওয়ার্ড ছাড়াও আশপাশের সব
ওয়ার্ডেই ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হচ্ছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর
রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি না
নেওয়ায় সদর হাসপাতালে চাপ বেড়েছে। এই হাসপাতালে ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১০টি শয্যা রয়েছে।
সক্ষমতার চেয়ে অন্তত ১৩ গুণ রোগী থাকায় সেবা দিতে নার্স ও চিকিৎসকদের বেগ পোহাতে
হচ্ছে।
”সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়ে রোগীদের
সেবা দিয়ে যাচ্ছি। পরিস্থিতি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের
জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।”
এদিকে ভর্তি না
নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, এখানে কোনো ডায়রিয়া ওয়ার্ড না থাকায় ভর্তি নেওয়া
হচ্ছে না। ফলে সদর হাসপাতালে চাপ পড়েছে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা
(আরএমও) গণেশ কুমার আগারওয়ালা জানান, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত
১০৮ জন ভর্তি হন। এদিকে গত এক সপ্তাহে প্রায় ৪৩২ জনকে ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া
হয়েছে। অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড় ফিরে গেছেন।
এদিকে চিকিৎসা সেবা পেতে কষ্ট
হচ্ছে বলে রোগীর স্বজনদের অভিযোগ। দালালদের উৎপাত বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন অনেকে।
চিকিৎসা নিতে আসা আলফাডাঙ্গা
উপজেলার আব্দুল্লাহ আবু খান বলেন, “বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে যাওয়ার পর আমাদের সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এখানে বেড না থাকায় কাঁঠাল
গাছের তলায় চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, অনেকে এভাবেই
চিকিৎসা নিচ্ছে।
তবে হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় ওষুধ
না পাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে স্বজনদের।
ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স
গোলাপি বেগম বলেন, ”আমরা এখন সাপ্তাহিক ছুটি না নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছি।“
হাসপাতালের আরেক চিকিৎসক তানজিলুর
ইসলাম বলেন, অনেক রোগী আসছে। সাধ্যমতো সেবা দেওয়া হচ্ছে।
দুই থেকে তিন দিন ঠিকমতো চিকিৎসা
নিলে রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানান তানজিলুর।