আইপিএল
ইতিহাসের সফল ও চলতি আসরের পয়েন্ট টেবিলের তলানির দুই দলের লড়াইয়ে বৃহস্পতিবার
চেন্নাইয়ের জয় ৩ উইকেটে। ১৫৬ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে শেষ বলে।
শেষ
ওভারে চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ১৭ রান। জয়দেব উনাদকাটের প্রথম বলে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস
এলবিডব্লিউ হয়ে গেলে কাজটা হয়ে যায় আরও কঠিন। দ্বিতীয় বলে ডোয়াইন ব্রাভো নিতে
পারেন সিঙ্গেল।
৪
বলে চাই ১৬। এরপরই ধোনির ঝলক। তখনও পর্যন্ত তার রান ৯ বলে ১২। সেই ধোনি পরের দুই
বলে উনাদকাটকে মারেন ছক্কা-চার। পঞ্চম বল ডিপ মিডউইকেটে পাঠিয়ে নেন ডাবল। আর শেষ
বলে ৪ রানের সমীকরণে ফাইন লেগ দিয়ে বাউন্ডারি মেরে দলকে অসাধারণ জয় এনে দেন
চেন্নাইয়ের সাবেক অধিনায়ক।
১৩
বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় অপরাজিত ২৮ রানের ইনিংসে ব্যবধান গড়ে দিলেন ধোনি। পাঁচবারের
চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই হারল নিজেদের প্রথম সাত ম্যাচেই!
মুম্বাইকে
আরও কম রানে থামানোর সুযোগ ছিল চেন্নাইয়ের। কিন্তু বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণে তা সম্ভব
হয়নি। চার-চারটি ক্যাচ ফেলে তারা। একটি স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া করেন ধোনি।
মুম্বাইয়ের
ডিওয়াই পাতিল স্পোর্টস একাডেমি মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিক দলের দুই
ওপেনারই আউট হন শূন্য রানে। আইপিএলে সবচেয়ে বেশি শূন্যর রেকর্ড নিজের করে নেন
রোহিত শর্মা (১৪)।
২৩
রানে ৩ উইকেট হারানো দলটি দেড়শ পার করতে পারে তিলক ভার্মার সৌজন্যে। ২ রানে জীবন
পেয়ে শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অষ্টম
উইকেটে তার সঙ্গে ১৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৫ রানের জুটিতে উনাদকাট ৯ বলে করেন ১৯ রান।
রান
তাড়ায় রুতুরাজ গায়কোয়াড় বিদায় নেন ইনিংসের প্রথম বলে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ
পেয়ে। ওপেনিংয়ে নেমে মিচেল স্যান্টনারও ফেরেন দ্রুতই।
এরপর
রবিন উথাপার ২৫ বলে ৩০ ও আম্বাতি রায়ডুর ৩৫ বলে ৪০ রানের ইনিংস লড়াইয়ে রাখে
চেন্নাইকে। যদিও বেড়ে যায় তাদের আস্কিং রান রেট।
শেষ
তিন ওভারে প্রয়োজন ছিল ৪২ রান। উনাদকাটের করা ১৮তম ওভারে প্রিটোরিয়াসের ছক্কা ও
ধোনির চারে আসে ১৪ রান। পরের ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহকে দুটি চার মেরে শেষ ওভারের
প্রথম বলে বিদায় নেন প্রিটোরিয়াস (১৪ বলে ২২)।
এরপরই
ধোনির ওই ঝলক। দারুণ বোলিংয়ে পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন যদিও চেন্নাইয়ের
মুকেশ চৌধুরি।
সাত
ম্যাচে চেন্নাইয়ের এটি দ্বিতীয় জয়।