শুক্রবার সকালে উরকিরচর এলাকা থেকে আট বছর বয়সী আদিফার (৮) মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানান সন্দ্বীপ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন সাগরের বিভিন্নস্থানে যৌথ টহল পরিচালনা করে।
“সকালে উরকিরচর এলাকা থেকে শিশু আদিফার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।”
সন্দ্বীপ ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা কিরিটি রঞ্জন বড়ুয়া জানান, “জোয়ারের পানিতে মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২৫ কিলোমিটার দূরে উরকিরচরে দিকে চলে যায়। ভাটার সময় মরদেহ সাগরের তীরে আটকে যায়।”
বুধবার সকালে কুমিরা ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া স্পিডবোটটি সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া ঘাটের কাছাকাছি গিয়ে প্রবল বাতাসে উল্টে যায়।
দুর্ঘটনার পর ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। এছাড়া উদ্ধার করা হয় নুসরাত জাহান আনিকা নামে ১১ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ; নিখোঁজ থাকে তিন শিশু।
নিখোঁজ শিশুদের মধ্যে মারা যাওয়া আনিকার দুই যমজ বোন আদিফা (৮) ও আলিভা (৮) ছিল, যাদের একজনকে শুক্রবার উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মনির হোসেন নামে ১০ বছর বয়সী আরেক শিশু নিখোঁজ আছে।
এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় দুর্ঘটনার পর কুমিরা থেকে গুপ্তছড়া রুটে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ আছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসেন।