ক্যাটাগরি

হিজাব পরায় বোর্ড পরীক্ষা দিতে পারলেন না কর্নাটকের ২ ছাত্রী

শুক্রবার ওই দুই ছাত্রীর দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা ছিল, সেই পরীক্ষায় অংশ নিতে বোরখা, হিজাব পরে কর্নাটকের উদুপির পরীক্ষা কেন্দ্রে হাজির হয়েছিলেন তারা; কিন্তু তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এনডিটিভি জানিয়েছে, আলিয়া আসাদি ও রেশমা নামের ওই দুই ছাত্রী তাদের অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করে তদের পরীক্ষা কেন্দ্রে উদুপির বিদ্যোদয় পিউ কলেজে গিয়েছিলেন, তাদের যেন হিজাব পরেই পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হয় এর জন্য প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে পরিদর্শক ও কলেজের অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেন তারা, কিন্তু অনুমতি মেলেনি।

আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সরকারের নিষেধাজ্ঞা মেনে তাদের হিজাব পরে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না বলে জানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ। এরপর তারা পরীক্ষা না দিয়েই কেন্দ্র ছেড়ে চলে যান।

কর্নাটকের প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় বোর্ডের অধীনে এদিন থেকেই দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের পোশাক নিয়ে ১০৭৬টি কেন্দ্রের কোনোটিতেই যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

রাজ্যটির শিক্ষামন্ত্রী বিসি নাগেশ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হিজাব পরা কোনো শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হবে না। চূড়ান্ত পরীক্ষায় তাদের হিজাব পরে অংশ নিতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য মন্ত্রী নাগেশকে অনুরোধ করেছিলেন অনেক মুসলিম ছাত্রী, তার জবাবেই তিনি একথা বলেন।  

কর্নাটকের হিজাব নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একেবারে সামনে ছিলেন ১৭ বছর বয়সী আলিয়া আসাদি। গত সপ্তাহে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের কাছে আবেদন জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের ভবিষ্য নষ্ট হওয়া বন্ধ করার’ একটা সুযোগ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে এখনও আছে। 

রাজ্য পর্যায়ের কারাটে চ্যাম্পিয়ন আলিয়া তার আবেদনে জানান, প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক বহু শিক্ষার্থী শুধু হিজাব নিষিদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তাই তাদের হিজাব পরেই পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

১৫ মার্চ কর্নাটক হাইকোর্ট আলিয়া ও রেশমার পিটিশন খারিজ করে দিয়ে বলেছিল, হিজাব ‘ইসলাম ধর্মের কোনো অপরিহার্য বিষয় নয়’।