আয়াক্স
ছেড়ে চলতি মৌসুম শেষে ইউনাইটেডে যোগ দেবেন টেন হাগ। তিন বছরের চুক্তিতে তার যোগ
দেওয়ার খবর বৃহস্পতিবার জানায় ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
এই
আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার আগে থেকেই টেন হাগের কাজের ধরন, ইউনাইটেডে তিনি তাতে
পরিবর্তন আনবেন কি-না কিংবা বদল না আনলে রোনালদো-ম্যাগুইয়ার-দাভিদ দে হেয়াদের মতো
বড় তারকাদের দলে তা কতটা কার্যকর হবে, সেসব নিয়ে চলছে আলোচনা।
গত
নভেম্বরে উলে গুনার সুলশার ছাঁটাই হওয়ার পর অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব নেওয়া
রালফ রাংনিক চুক্তি অনুযায়ী যোগ দেবেন পরামর্শক পদে। চলতি মৌসুম শেষে তারই
উত্তরসূরি হবেন টেন হাগ।
২০১৯
ও ২০২১ সালে লিগ শিরোপা জেতার পর টেন হাগের হাত ধরে ২০১৮-১৯ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের
সেমি-ফাইনালেও উঠেছিল আয়াক্স। চলতি লিগেও এখন পর্যন্ত টেবিলের শীর্ষে আছে তারা।
সাফল্যের
দিক থেকে টেন হাগের বর্তমান দলের ঠিক বিপরীত চিত্র তার পরবর্তী দল ইউনাইটেডের।
২০১৭ সালের পর কোনো প্রতিযোগিতায় শিরোপার স্বাদ পায়নি তারা। সবশেষ প্রিমিয়ার লিগ
শিরোপা জিতেছিল ২০১৩ সালে।
দলকে
সাফল্যের ভেলায় ফেরানোর পাশাপাশি টেন হাগকে সামলাতে হবে ইউনাইটেডের তারকা সমৃদ্ধ
ড্রেসিংরুমও। দলে আছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, দাভিদ দে হেয়া, রাফায়েল ভারানে,
ব্রুনো ফের্নান্দেসের মতো খেলোয়াড়রা।
ডাচ
সংবাদমাধ্যম ত্রাউয়ে গত শুক্রবার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে টেন হাগ বলেন, দল পরিচালনার
ক্ষেত্রে তার ধরনে কোনো পরিবর্তন আনবেন না। এক্ষেত্রে ইউনাইটেডের তারকাদের ছাড় না
দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
“আমি
কোচিং সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনব না। দলে যেমন খেলোয়াড় থাকে,
সেভাবেই খেলতে হয়। তবে মাঠে তাদের করণীয় কাজ ও মানদণ্ডটা আমি ঠিক করি।”
“আমি
সবাইকে তাদের কাজ বুঝিয়ে দিই এবং যারা তা করতে পারবে না, সেটা যেই হোক না কেন,
তাকে সেটা সরাসরি জানানো হবে। এই বিষয়ে আমি কোনো ছাড় দিই না।”
দলের
সাফল্যের জন্য খেলোয়াড়দের প্রতি কঠোর হতেও আপত্তি নেই টেন হাগের। তবে সেটা
সীমাবদ্ধ রাখতে চান ড্রেসিংরুমের মধ্যেই।
“বাইরের
সবকিছু থেকে অবশ্যই আমি খেলোয়াড়দের রক্ষা করব। তবে দলের ভেতরে কেউ সীমা লঙ্ঘন করলে
পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে। দিন শেষে এটি শীর্ষ পর্যায়ের খেলা। আমাদের পরস্পরের ওপর
বিশ্বাস রাখতে হবে, অন্যথায় আমরা ফলাফল পাব না।”
“খেলোয়াড়দের
রক্ষা করার কারণে যদি আমাকে তোপের মুখে পড়তে হয়, তবে তাই হোক। আমি কোচ, দলের নেতা,
আমি যা করি তা ফলাফল পাওয়ার স্বার্থেই করি।”
ক্লাব
ফুটবলের সফলতম ও ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোর একটি ইউনাইটেডে দায়িত্ব মানেই প্রবল চাপের
মাঝে থাকা। পাশাপাশি রয়েছে ইংলিশ মিডিয়া, কড়া সমালোচনার তীরে যারা টেন হাগের কাজ
কঠিন করে তুলতে পারেন।
৫২
বছর বয়সী এই কোচ অবশ্য গণমাধ্যমের সমালোচনাকে খুব একটা গুরুত্ব দেওয়ার পক্ষে নন।
“আমাদের
সবকিছু না পড়লেও চলবে। আর সবাই জানে যে, এই পেশায় সমালোচনা হবেই। আমাকে এটার
সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। মাঝে মাঝে (সংবাদমাধ্যমের খবর) সঠিক হবে, মাঝে মাঝে ভুল।”