গত সপ্তাহে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগরীয়
নৌবহরের এই ফ্ল্যাগশিপটিতে বিস্ফোরণ ঘটার পর সেটি ডুবে যায়।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে প্রথমবারের
মতো রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকার করে, ওই সময় হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল; খবর রুশ
বার্তা সংস্থা আরআইএ-র।
এর আগে রাশিয়া বলেছিল, আগুন লেগে
মস্কভায় থাকা গোলাবারুদে বিস্ফোরণ ঘটেছে আর তাতে জাহাজটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে,
তবে সব নাবিককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
১৪ এপ্রিল রাতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা
মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, মস্কভা ক্রুজারে আগুন লেগেছে আর তাতে গোলাবারুদের বিস্ফোরণ
ঘটেছে। সব নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাহাজটিতে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রগুলো অক্ষত আছে।
বিস্ফোরণে জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত
হওয়ার পর
সব নাবিককে
সরিয়ে ১৫
এপ্রিল সেটিকে টো করে
বন্দরে ফিরিয়ে
নেওয়া হচ্ছিল। সে সময় বিক্ষুব্ধ
সাগরে জাহাজটি
ডুবে যায়
বলে রাশিয়ার
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য।
শুক্রবার দেওয়া বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি
বলেছে, “নাবিকরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও তা সফল হয়নি। জাহাজটি রক্ষা করার
চেষ্টার সময় এক নাবিকের মৃত্যু হয় এবং আরও ২৭ জন নিখোঁজ হন। বাকি ৩৯৬ জন নাবিককে সরিয়ে
নেওয়া হয়।”
মিসাইল ক্রুজার মস্কভা ছিল রাশিয়ার
সমর ক্ষমতার প্রতীক। কৃষ্ণ সাগর থেকে ইউক্রেইনে হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছিল জাহাজটি।
ইউক্রেইনের দাবি, তাদের জাহাজ
বিধ্বংসী নেপচুন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে মস্কভা ডুবে গেছে।
মস্কভা ১৯৮৩ সালে
সোভিয়েত নৌবাহিনীতে
যুক্ত হয়। ১৬টি জাহাজ বিধ্বংসী
‘ভালকান’ ক্ষেপণাস্ত্র
বহন করতে
পারত মস্কভা,
সেসব ক্ষেপণাস্ত্রের
পাল্লা অন্তত
৭০০ কিলোমিটার
।
২০২১ এর এপ্রিলে
রাশিয়ার একজন
অবসরপ্রাপ্ত অ্যাডমিরাল মস্কভাকে ‘কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
জাহাজ’ হিসেবে
বর্ণনা করেছিলেন।
আরও পড়ুন:
কৃষ্ণ সাগরে ডুবে গেছে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ মস্কভা
রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের ফ্ল্যাগশিপে বিস্ফোরণ
রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ ডোবার পর কিইভে শক্তিশালী বিস্ফোরণ