শুক্রবার রাতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডির একটি
দল অভিযান চালিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বোরহান উদ্দিন (৫০) নামে ওই ব্যক্তিকে
গ্রেপ্তার করে।
গত ২০ এপ্রিল ভোরে নান্দাইলের চণ্ডিপাশা এলাকায় ওই
কারখানায় আতশবাজি তৈরীর সময় বারুদ ও রাসায়নিক দ্রব্য হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়ে
ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই শ্রমিক নাছিমা আক্তার (৩০) ও আফিয়া খাতুন (৪৫)।
পরদিন কারখানার মালিক বোরহান উদ্দিনের বিরুদ্ধে
নান্দাইল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে এবং হত্যা মামলা করা হয়।
আসামি গ্রেপ্তারের পর শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির
বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরবলেন, বোরহান ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে সেই কারখানায়
অবৈধভাবে আতশবাজি তৈরি করে আসছিলেন।
৫০ শ্রমিকের ওই কারখানায় ছোট ছোট চকলেট বাজি, তারাবাজি,
পটকা ইত্যাদি তৈরি করা হত। তা স্থানীয় বিভিন্ন বাজার ও আশেপাশের এলাকার বিভিন্ন
দোকানে বিক্রি হত।
মুক্তা ধর বলেন, “ঘটনার
দিন ভোরে আতশবাজি তৈরির সময় দুইজন নারী শ্রমিক আতশবাজির প্রচণ্ড বিস্ফোরণে
বীভৎসভাবে মৃত্যুবরণ করেন এবং বিস্ফোরণের তীব্রতায় উক্ত কারখানার চালও দুমড়ে মুচড়ে
যায় এবং ঘরের দেওয়াল খণ্ড বিখণ্ড হয়ে ভেঙে পড়ে।”
ঢাকার চকবাজার থেকে আতশবাজি তৈরির জন্য কাঁচামাল কিনতেন
বলে বোরহান জানিয়েছেন।
তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে নান্দাইল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ
আইনে মামলা হয়েছিল বলে জানায় সিআইডি।